দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেছেন অমিত। সাদাত তুলেছেন ছক্কার ঝড়। দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের সৌজন্যে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবকে ৭৭ রানে হারিয়েছে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি।
তলানির দুই দলের লড়াইয়ে বিকেএসপিতে খেলাঘরের ২৮৮ রান তাড়ায় পারটেক্স গুটিয়ে যায় ২১১ রানে।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা খেলাঘরের শুরুটা ছিল মন্থর। ৬৪ রানে হারায় তারা প্রথম ৩ ব্যাটসম্যানকে। রান রেট তখন মোটে তিনের একটু বেশি!
অমিত মজুমদার নামার পর থেকেই বাড়তে থাকে রানের গতি। চতুর্থ উইকেটে নাজিম উদ্দিনকে নিয়ে গড়েন ৬৪ রানের জুটি। যাতে অমিতের অবদানই ছিল ৩৭ বলে ৪৫।
পরের জুটিতে পুরোই বদলে যায় খেলার চিত্র। বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে প্রতিপক্ষ বোলারদের তুলোধুনো করেন অমিত ও সাদাত। পঞ্চম উইকেটে ১৩৩ রানের জুটি গড়েছেন মাত্র ৯২ বলে!
২০০৬ সালে বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ইনিংস ওপেন করেছিলেন সাদাত। সেই সময়ের তরুণ ব্যাটসম্যান পরে আর থাকতে পারেননি উন্নতির পথে। এদিন দেখালেন শট খেলা একেবারে ভুলে যাননি। ৫১ বলে করেছেন ৭৯, যাতে ছক্কা ছয়টি।
অমিতও কম যাননি। সেঞ্চুরি করেছেন ৮৩ বলে। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটি তার প্রথম সেঞ্চুরি। আউট হয়েছেন অবশ্য তিন অঙ্ক ছোঁয়ার পরই। ৯ চার আর ৩ ছক্কায় ১০১।
শেষ দিকের ব্যাটসম্যানরা সেভাবে জ্বলে উঠতে না পারায় তিনশ হয়নি খেলাঘরের। আটকে যায় তারা ২৮৮ রানে। তবে পারটেক্সের জন্য সেটিই হয়ে যায় দুঃসাধ্য।
উদ্বোধনী জুটিতে ইরফান শুক্কুর ও সাজ্জাদ হোসেন ৭০ রানের জুটি গড়েছেন। এরপর গড়ে ওঠেনি আর কোনো বড় জুটি। ভারতীয় যতিন সাক্সেনা ফিরে গেছেন ১৮ বলে ২০ রানে।
সাতে নেমে অধিনায়ক জুবাইর আহমেদের ৪৪ রানে কোনো রকমে দুইশ পেরোয় পারটেক্স। গুটিয়ে গেছে ২৯ বল আগেই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
খেলাঘর: ৫০ ওভারে ২৮৮/৮ (রবিউল ৩৪, পাপ্পু ৫, নাফিস ২০, অমিত ১০১, নাজিম উদ্দিন ১৭, সাদাত ৭৯, মাসুম ১, ডলার ৩, সাদেকুর ৮*, জনি ৬*; মামুন ২/৪৬, মাসুম ২/২৭, রাজিবুল ০/১৭, জুবাইর ৩/৬৯, শাহানুর ০/৪২, বিশ্বনাথ ১/৩১, সাক্সেনা ০/৩৮, সাজ্জাদ ০/১৩)।
পারটেক্স: ৪৫.১ ওভারে ২১১ (শুক্কুর ৩৫, সাজ্জাদ ৩৯, সাক্সেনা ২০, তারিক ১৫, জাকারিয়া ৭, শাহানুর ১৪, জুবাইর ৪৪, রাজিবুল ১, মাসুম ১১, মামুন ১১*, বিশ্বনাথ ৮; ডলার ০/৩১, মাসুম ০/২১, সাদেকুর ৩/৫৮, সাদাত ০/২৮, রবিউল ১/১৬, তানভির ৩/৩১, জনি ৩/২৪।
ফল: খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি ৭৭ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: অমিত মজুমদার