ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সোমবার বিকেএসপিতে পারটেক্স স্পোটিং ক্লাবকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে আবাহনী লিমিটেড। গতবারের চ্যাম্পিয়নরা জিতল লিগের প্রথম দুই ম্যাচই।
আগের ম্যাচে তিনশ ছুঁইছুঁই রান তাড়ায়ও জিতেছিল আবাহনী। এবার সেই ম্যাচের জয়ের নায়ক উইকেটে যাওয়ার আগেই কার্যত ম্যাচ শেষ। শান্ত ও মাহমুদউল্লাহর জুটিই দলকে জয়ের কাছে নিয়ে গেছেন। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান মোসাদ্দেক সেরেছেন আনুষ্ঠানিকতা।
আবাহনীর বোলারদের মধ্যে এককভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি কেউ। তবে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা পারটেক্সকে বেধে রাখে ২৩৪ রানে।
অর্ধশত রানের জুটি হয়েছে কেবল একটি। ইনিংসের একমাত্র অর্ধশতক করেছেন জুবাইর আহমেদ। ছয়ে নেমে অপরাজিত ৫০।
২৩৫ রান তাড়ায় ভারতীয় উদয় কাউলকে শুরুতেই হারায় আবাহনী। ২০ রান করে ফেরেন লিটন দাসও। তবে আবাহনী হারবে, এমনটি মনে হয়নি একবারও।
তৃতীয় উইকেটে ১০৬ বলে ১৫০ রানের বিধ্বংসী জুটি গড়েন শান্ত ও মাহমুদউল্লাহ। ধ্বংসযজ্ঞের কাজটা করেছেন মূলত মাহমুদউল্লাহই। ৫২ বলে ৭৭ রান করেছেন আবাহনী অধিনায়ক। ৫ চারের সঙ্গে ছক্কা তিনটি।
২৪ বলে অপরাজিত ২৩ মোসাদ্দেক। শিরোপা ধরে রারখার অভিযানে আগুয়ান আবাহনী।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পারটেক্স: ৫০ ওভারে ২৩৪/৭ (শুক্কুর ১, সাজ্জাদ ৪৪, তারিক ২৫, যশপাল ৩৩, শাহানুর ১৯, জুবাইর ৫০, জাকারিয়া ২৫, রাজিবুল ৮, মাসুম ১৩*; তাসকিন ১/৪৬, সাইফুদ্দিন ২/৫৬, শুভগত ২/৪৫, সানজামুল ১/৩০, সাকলাইন ০/৪৮, মাহমুদউল্লাহ ০/২)।
আবাহনী: ৩৮.৩ ওভারে ২৩৭/৩ (উদয় ৯, লিটন ২০, শান্ত ১০১*, মাহমুদউল্লাহ ৭৭, মোসাদ্দেক ২৩*; মামুন ১/২০, মাসুম/৪৫, হাফিজ ১/২৭, রাজিবুল ১/৩২, শাহানুর ০/২৯, যশপাল ০/২৮, জুবাইর ০/১১, জাকারিয়া ০/৩৭, সাজ্জাদ ০/৭)।
ফল: আবাহানী ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: নাজমুল হোসেন শান্ত