ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডানকে পাত্তাই দেয়নি নাসিরের গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। হারিয়েছে ৭ উইকেটে।
বিকেএসপিতে মোহামেডানের ২২০ রান গাজী পেরিয়ে যায় ১৩ ওভার বাকি রেখেই! চার নম্বরে নেমে নাসির অপরাজিত ১০৬ বলে ১০৬ রানে।
মোহামেডানের ব্যাটিং বা বোলিং, শুরুর দিনে বিবর্ণ দুটিই। সকালে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫৩ রানে হারায় তারা ৩ উইকেট। রান তোলার গতিও ছিল মন্থর। ওপেনিংয়ে ৩৫ রান করতে শামসুর রহমান খেলেন ৭০ বল।
মোহামেডানের পুরোনো ক্রিকেটার আফগান অলরাউন্ডার রহমত ৭৮ করেন ৯১ বলে। ঢাকা লিগে প্রথমবার বড় কোনো দলের হয়ে খেলতে নেমে মিরাজ ৭০ বলে ৫২।
এই জুটির পর আর তেমন কিছু করতে পারেনি কেউ। শেষ ৬ ওভরে আসে মাত্র ২৪ রান।
মাঝারি পুঁজি নিয়েও তবু লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়েছিল মোহমেডান। নতুন বলে বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম ফিরিয়ে দেন জহুরুল ইসলাম ও মুমিনুল হককে।
তবে পাল্টা আক্রমণে জবাব দেন এনামুল হক। ৪৩ বলে অর্ধশতক করেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।
৬৯ বলে অর্ধশতক স্পর্শ করেছিলেন নাসির। পরের পঞ্চাশ করতে লেগেছে ৩৫ বল। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটি তার চতুর্থ সেঞ্চুরি। গাজী অধিনায়কের ১০৬ রানের ইনিংসে ছক্কা ৫টি।
অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার রসুল অপরাজিত থাকেন ৫৩ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
মোহামেডান: ৫০ ওভারে ২২০/৮ (শামসুর ৩৫, সৈকত ১০, রনি ৯, রকিবুল ১০, রহমত ৭৮, মিরাজ ৫২, মিলন ৫, তাইজুল ০,কামরুল রাব্বি ১৬*, এনাম জুনিয়র ২*; শফিউল ১/৩৮, আলাউদ্দিন ২/৪০, আবু হায়দার ১/৪৪, মেহেদি ২/২৯, রসুল ০/৪২, সোহরাওয়ার্দী ০/২৬)।
গাজী গ্রুপ: ৩৭ ওভারে ২২৩/৩ (এনামুল ৫৪, জহুরুল ১, মুমিনুল ২, নাসির ১০৬*, রসুল ৫৩*; শুভাশীস ০/৩৭, তাইজুল ২/৬১, মিরাজ ০/৪১, এনাম জুনিয়র ০/৩৩, কামরুল রাব্বি ০/২৩, রহমত ১/২৪)।
ফল: গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: নাসির হোসেন