প্রথম ম্যাচে গত আসরের সেনসেশন এবার শুরু করলেন হতাশায়। ২.৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে উইকেটশূন্য। হেরেছে তার দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
মুম্বাইয়ে হায়দরাবাদকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে। ১৫৯ রান তাড়ায় ৮ বল বাকি রেখে জিতেছে মুম্বাই।
ষষ্ঠ ওভারে যখন মুস্তাফিজকে বোলিংয়ে আনলেন ডেভিড ওয়ার্নার, প্রতিপক্ষ তখন একটু চাপে। মাত্রই রোহিত শর্মাকে তুলে নিয়েছেন রশিদ খান। কিন্তু মুস্তাফিজকে তুলোধুনো করেই চাপ সরাল মুম্বাই।
প্রথম বলেই হজম করলেন ছক্কা। বলটি অবশ্য খারাপ ছিল না। শর্ট বলে চমকে দিয়েছিলেন নিতিশ রানাকে। কিন্তু বল থেকে চোখ সরিয়েও ব্যাট চালিয়ে দেন বাঁহাতি রান। বল উড়ে যায় ফাইন লেগ দিয়ে।
ওই ওভারের শেষ তিন বলে বাউন্ডারি মারেন পার্থিব প্যাটেল। এক ওভারে ১৯ রান আইপিএলে মুস্তাফিজের সবচেয়ে খরুচে ওভার। গত আসলে ১৬ ম্যাচে ৬১ ওভার বোলিং করেও কোনো ওভারে দেননি ১৪ রানের বেশি।
ত্রয়োদশ ওভারে বোলিংয়ে আসেন নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে। এই ওভারেও ছক্কা হজম করেন কাইরন পোলার্ডের ব্যাটে।
তৃতীয় ওভারে যখন বোলিং পেলেন, মুম্বাইয়ের জিততে চাই চার রান। ধীরে সুস্থে চার বলে চার রান নিয়ে নেন হার্দিক পান্ডিয়া ও হরভজন সিং।
অথচ ম্যাচের শুরুটা হায়দরাবাদের জন্য ছিল দারুণ। ১০ ওভারে ৮০ রান তোলেন দুই ওপেনার ওয়ার্নার ও শিখর ধাওয়ান। ৩৪ বলে ৪৯ রান করে ফেরেন ওয়ার্নার, ৪৩ বলে ৪৮ ধাওয়ান। কিন্তু নিয়মিত উইকেট হারিয়ে ২০ ওভারে করতে পারে তারা ৮ উইকেটে ১৫৮।
রান তাড়ায় খুব একটা বেগ পেতে হয়নি মুম্বাইকে। পার্থিব প্যাটেল করেন ২৪ বলে ৩৯। এবারের আসরের চমক নিতিশ রানা ৩৬ বলে ৪৫। আর ২০ বলে ৩৭ রানে দলের জয় নিশ্চিত করেন ক্রুনাল পান্ডিয়া।
হায়দরাবাদের হয়ে আরও একবার দরুণ বোলিং করেছেন আফগান লেগ স্পিনার রশিদ খান। ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট। ২১ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন ভুবনেশ্বর কুমার।
তবে মুস্তাফিজের মতোই খরুচে ছিলেন আশিষ নেহরা। অভিজ্ঞ এই বাঁহাতি পেসার ৪ ওভারে দিয়েছেন ৪৬ রান।
হায়দরাবাদের পরের ম্যাচ শনিবার, কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ইডেন গার্ডেনসে।