মাশরাফির অবসর নিয়ে কলম্বোতেও প্রায় একই দাবি করেছেন নাজমুল। শুক্রবার দেশে ফিরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আবারও শোনালেন একই কথা।
“আমি একটা কথা বারবারই বলছি, মাশরাফি কিন্তু টি-টোয়েন্টি এখনও ছাড়েনি। আমরা এখন পর্যন্ত মাশরাফিকে বলিনি যে, মাশরাফি টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে নেই। ও অধিনায়কত্ব ছেড়েছে। আমাদের তিনটা ফরম্যাটে তিনজন অধিনায়ক। সেটা আমি অনেক আগেই বলেছি। ও যদি ফিট থাকে খেলবে। যদি বলে খেলতে চায় না, কিন্তু আমাদের দরকার হয়, তাহলে কি ছেড়ে দিব?”
মাশরাফির টি-টোয়েন্টি থেকে বিদায়ে যে তোলপাড়, এটারও কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না ক্রিকেটারদের অভিভাবক সংস্থার প্রধান।
“বাংলাদেশ ছাড়া টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়কত্বে কে রিটায়ার করল, কে গেল, এটা নিয়ে কোনো দিন কোনো জায়গায় নিউজ দেখেনি। শুধু বাংলাদেশেই এত হুলস্থুল দেখছি। যে কোন দেশে ওয়ানডে নিয়ে কথা হয়, টেস্ট নিয়ে হয়, কিন্তু টি-টোয়েন্টি নিয়ে এমন আলোচনা হয় না।”
“মাশরাফির মনে কষ্ট না থাকার কোনো কারণ নেই। কারণ ও একজন খেলোয়াড়। শুধু খেলোয়াড়ই নয়, ও দলটাকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। তাছাড়া খেলা থেকে অবসর, সেজন্য খারাপ লাগতেই পারে। এটা অস্বাভাবিক কিছু না। আমারও লাগত।”
বোর্ড প্রধানের দাবি, মাশরাফিকে যখন নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছিল, তখন দলেই তার জায়গা হয় না।
“ওকে যখন অধিনায়ক করা হয় টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডেতে, ও স্কোয়াডেই ছিল না। ও তখন ইনজুরিতে। ওকে যখন বানানো হয়েছে, তখন নিশ্চয়ই একটা বিশেষ কথা চিন্তা করে করা হয়েছিল। সেই ভূমিকা সে পুরোপুরিভাবে সার্থকভাবে করেছে, সেজন্য ওর পাশাপাশি আমরাও গর্বিত।”
অধিনায়কত্ব পাওয়ার সময় মাশরাফির দলে জায়গাই হয় না, এই দাবিও বিস্ময়কর। নেতৃত্ব পাওয়ার আগের সিরিজেই ওয়েস্ট ইন্ডিজে তিনি ছিলেন দলের দ্বিতীয় সেরা উইকেট শিকারি। তার আগের সিরিজে ভারতের বিপক্ষেও বোলিং করেছিলেন দুর্দান্ত।
২০১৪ সাল ছিল বাংলাদেশর ক্রিকেটের মহা বিপর্যয়ের বছর। দলকে উদ্ধার করতেই নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছিল মাশরাফিকে। অনেক সাক্ষাৎকারেই মাশরাফি বলেছেন, সে সময় অধিনায়কত্ব নিতে মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলেন না তিনি। কিন্তু দেশের প্রয়োজনের কথা ভেবে এবং তার বাবার অনুরোধের পরই রাজি হয়েছিলেন নেতৃত্ব নিতে।