সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েস যে শুরু এনে দিয়েছিলেন তাতে দুইশ রানের দিকে ছিল মাশরাফির নজর। শেষের দিকে লঙ্কানদের ভালো বোলিংয়ে ততদূর যেতে পারেনি বাংলাদেশ। ৯ উইকেটে করে ১৭৬ রান।
সাকিব আল হাসান, মুস্তাফিজুর রহমানের দারুণ বোলিংয়ে পাওয়ের প্লের মধ্যে ৪০ রানে ফিরে যান স্বাগতিকদের ৫ ব্যাটসম্যান। তারপরই জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন চামারা কাপুগেদারা ও থিসারা।
ম্যাচ শেষে মাশরাফি জানান, এই জুটি ভাঙার জন্যই সে সময়ে সাকিবকে আক্রমণে এনে ছিলেন।
“ওই সময়ে একটা উইকেট খুব দরকার ছিল। থিসারা-কাপগেদারা উইকেটে জমে গিয়েছিল। ওদের বিচ্ছিন্ন করা দরকার ছিল। থিসারার আউটের পর অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যাই।”
মৃদু যে অনিশ্চয়তা ছিল সেটা দূর করেন অধিনায়ক মাশরাফি নিজেই। ঝড় তোলার আগেই ফিরিয়ে দেন অলরাউন্ডার প্রসন্নকে। তার বিদায়ের পর ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকে পড়ে শ্রীলঙ্কা।
“থিসারা-প্রসন্ন বিদায়ের পর আর কোনো অনিশ্চয়তা ছিল। ওভার প্রতি তখন যে রান দরকার ছিল সেটা টেলএন্ডারদের নিয়ে করা ভীষণ কঠিন ছিল।”
লক্ষ্যের ধারেকাছেও যেতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। দুই ওভার বাকি থাকতেই আউট হয়েছে ১৩১ রানে। ৪৫ রানের জয়ে দুই ম্যাচের সিরিজ ড্র করেছে বাংলাদেশ।