ফিল্ডিংয়ের সময় ভীষণ অস্থির ছিলেন মাশরাফি। আনমনা ছিলেন খুব। হাত থেকে উপুল থারাঙ্গার সহজ ক্যাচ ফস্কানোর কারণও সেটাই।
একটু পরপর খেই হারাচ্ছিলেন মাশরাফি। ঠিক সেই সময়ে এগিয়ে আসেন সাকিব। ফিল্ডিং সাজানো, বোলারের সঙ্গে কথা বলার দায়িত্ব পালন করেন সহ-অধিনায়ক।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বলছিলেন সাকিবের এই সক্রিয়তা নিয়ে।
“সাকিব যখন মাঠে এমন সক্রিয় থাকে কাজটা অনেক সহজ হয়ে যায়। এমন ম্যাচ আপনি আগেও দেখবেন। ভারতের বিপক্ষে টি-বিশ্বকাপের ম্যাচটাতে যেমন ছিল।”
“সাকিব সক্রিয় থাকাতে আমি যখন ফাইন লেগে ফিল্ডিং করছিলাম, ও বোলারের সঙ্গে কথা বলে ফিল্ডিং সাজাচ্ছিল। তার জন্য আমার দৌড়ে দৌড়ে যেতে হয়নি। যেটা বললাম, নিজেকে অনেক সময় নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিলাম না। সাকিব এগিয়ে আসাতে আমার জন্য ভালো হয়েছে।”
সহ-অধিনায়ক সাকিবই অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে। বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার বা অন্য যেই তার জায়গায় আসুক, শুভকামনা জানিয়ে রেখেছেন মাশরাফি।
“আমি এবং আমার পরিবারের পক্ষ থেকে তার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা আছে। শুধু তার জন্য না পুরো বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের জন্য। আপনারা সাকিবের কথা বলছেন, যেই হোক, আমার বিশ্বাস সে বাংলাদেশ দলকে অনেক সামনে এগিয়ে নেবে এখান থেকে।”
আপাতত বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি নেই। তাই নতুন অধিনায়ক কে হলেন এ নিয়ে কোনো আগ্রহ নেই সাকিবের। আপাতত আইপিএল পরে আয়ারল্যান্ড সফরের দিকে সম্পূর্ণ মনোযোগ দিতে চান তিনি।