হঠাৎ দলে আসা মেহেদী হাসান মিরাজ ওয়ানডে সিরিজে নিজেকে মেলে ধরলেন। ১৯ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডারই অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার কাছে সিরিজে বাংলাদেশের সেরা প্রাপ্তি।
Published : 01 Apr 2017, 10:11 PM
মিরাজের জাতীয় দলে অভিষেক টেস্ট ক্রিকেট দিয়ে। মনে হচ্ছিল, দেশের হয়ে সীমিত ওভারের ক্রিকেট খেলতে আরও কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে তাকে। লঙ্কানদের বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের আধিক্য সুযোগটা এনে দিল আরও আগেই।
মাশরাফির বিশ্বাস, নিজের জায়গায় বল করলে যে কারোর জন্য মিরাজের বোলিং সামলানো কঠিন। ৩ ম্যাচে ৪ উইকেট পাওয়া অফ স্পিনারের বোলিংয়ের ওপর অগাধ আস্থা অধিনায়কের।
প্রথম ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নামতে হয়নি মিরাজের। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বৃষ্টিতে ভেসে গেছে বাংলাদেশের ইনিংস। সুযোগ মিললো তৃতীয় ম্যাচে। কঠিন সময়ে নেমে করলেন অর্ধশতক। বাংলাদেশের হয়ে নিজের প্রথম ওয়ানডে ইনিংস এর আগে পঞ্চাশ ছোঁয়ার কৃতিত্ব আছে কেবল ফরহাদ রেজা ও নাসির হোসেনের।
মাশরাফি মনে করেন, মিরাজের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ আরও ভারসাম্যপূর্ণ দল হয়ে উঠবে।
“মিরাজ ওর প্রথম ৫০ রান করলো। ওর নিজের ক্যারিয়ার আর বাংলাদেশের জন্য খুব ভালো হবে এটা। ৮ নম্বরে নেমে যদি কেউ যদি ৫০ করতে পারে সেটা ওয়ানডেতে দলের জন্য অনেক বড় শক্তি হয়ে দাঁড়ায়।”
বোলিং প্রথম ১০ ওভারে ৭৬ রান দিয়ে কোনো উইকেট নিতে পারেননি মাশরাফিরা। এক সময়ে লঙ্কানদের নজর ছিল সাড়ে তিনশ রানে।
“প্রথম ১০ ওভার খারাপ হওয়ার পর বোলিং ইউনিট হিসেবে ঘুরে দাঁড়িয়েছি। এটা একটা শিক্ষার জায়গা হতে পারে, যে এখান থেকেও ঘুরে দাঁড়ানো যায়। তিন উইকেট হারানোর পরও সাকিব-সৌম্য যেভাবে ব্যাটিং করেছে আমি মনে করি, এটা পজেটিভ ছিল। হয়তো এই পরিস্থিতি অনুযায়ী যা দরকার ছিল তা হয়নি। আমি মনে করি, এইখান থেকে ওরা কিভাবে বড় ইনিংস খেলা যায় সেটা শিখবে।”