মাশরাফির আক্ষেপ প্রথম ১০ ওভার

স্কোর কার্ডের দিকে তাকালেই পরিষ্কার বোঝা যায়। তবুও প্রশ্নটা এল; উত্তরটাও তৈরি ছিল। বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা মনে করছেন, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাটিং আর বোলিংয়ে প্রথম ১০ ওভারের বাজে পারফরম্যান্সেই হারতে হয়েছে তাদের।  

ক্রীড়া প্রতিবেদক কলম্বো থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 April 2017, 03:20 PM
Updated : 1 April 2017, 04:32 PM

সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে শনিবার তৃতীয় ওয়ানডেতে প্রথম ১০ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৭৬ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। সেখান থেকে শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ২৮০ পর্যন্ত যায় স্বাগতিকরা। জবাবে প্রথম ১০ ওভারে ৬০ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। বড় লক্ষ্য তাড়ায় থামে ২১০ রানে।  

ম্যাচ শেষে সংবাদ সংবাদ সম্মেলনে বিমর্ষ মাশরাফি বলছিলেন হারের কারণ নিয়ে।

“আপনি ওদের আর আমাদের প্রথম ১০ ওভারের বোলিং দেখেন, আমরা ওখানেই ম্যাচটা হেরে গেছি।”

“প্রথম ১০ ওভারে আমরা ৭৬ রান দিয়েছি, ওখান থেকে যদি ২০টা রান কমাতে পারতাম। আবার ব্যাটিংয়ে যদি ( প্রথম ১০ ওভারে তিনটার জায়গায়) একটা বা দুইটা উইকেট পড়তো…। মুশফিক আমাদের সব সময়ের সেরা ব্যাটসম্যান। ও যদি থাকতো কাজটা অনেক সহজ হতো।”

মাশরাফি ব্যাটিংয়ে প্রথম ১০ ওভারের কথা বলছেন বটে তবে সেটা আসলে প্রথম চার ওভার। সেই সময়ে ১১ রানের মধ্যে ফিরে যান তামিম ইকবাল, সাব্বির রহমান ও মুশফিকুর রহিম। তামিম ঝুঁকিপূর্ণ এক শটে চার রান করতে পারলেও শূন্য হাতে বিদায় নেন সাব্বির-মুশফিক।

প্রথম ১০ ওভারে কিভাবে শ্রীলঙ্কার এতো রান হল তার উত্তর নিজেই যেন খুঁজছিলেন মাশরাফি।

“বোলিংয়ে যখন এক-দুইটা ওভার খারাপ গেছে, আমরা রক্ষণাত্মক হয়ে গেছি। সে কারণে আরও বেশি সমস্যা হয়েছে। যদি গত দুই ম্যাচের মতো আক্রমণাত্মক থাকতাম…। আগের দুই ম্যাচেও কিন্তু ওরা আক্রমণাত্মক শুরু করেছে কিন্তু আমরাও আক্রমণাত্মক থাকায় পারেনি। সেখান থেকেও কিছুটা সরে এসেছিলাম।”

অধিনায়কের উপলব্ধি, হয়তো ঠিক কোন লেংথে বল করতে হবে সেটা বুঝে উঠতে পারেননি তারা।

“এখানে-সেখানে বোলিং করার কারণে এই অবস্থা হয়েছে শুরুতে। শেষ দুই ম্যাচে যেমন ডিসিপ্লিনড ছিলাম সেটা করতে পারিনি। শুরুতেই যেটা চাচ্ছিলাম সেটা না হওয়াতে অনেক কিছুর চেষ্টা করেছি আমরা, এটাও একটা কারণ হতে পারে।”  

ব্যাটিংয়ের শুরুতে নুয়ান কুলাসেকারা আর সুরঙ্গা লাকমলের প্রথম ১০ ওভার কাটিয়ে দিতে পারলে লক্ষ্যটা সহজ হয়ে যেতে পারতো।

“আমরা জানতাম ওদের দুইটাই ভালো বোলার আছে, ওরা নতুন বলে বোলিং করবে। ওদের বলগুলো টিকে গেলে ম্যাচটা খুবই সহজ হয়ে যেতো।”

“আমাদের একটা ভালো শুরু দরকার ছিল, যেন শুরুতেই উইকেট না হারাই। মাঝের ওভারগুলোয় কিন্তু ওরা অনিয়মিত বোলার দিয়ে বল করিয়েছে। তখন কাজটা অনেক সহজ হয়ে যেত। দ্রুত উইকেট হারানোয় সেটা আমরা করতে পারিনি।”

এই সিরিজ নিয়ে এখন আর ভাবতে চান না মাশরাফি। আপাতত নজর দিতে চান টি-টোয়েন্টি সিরিজের দিকে। সামনে আয়ারল্যান্ডে সফরে আবার ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ। তার আগেই ভুল-ত্রুটি ঠিক করে নতুন চ্যালেঞ্জের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকতে চান অধিনায়ক।