তবে ক্রিকেট ছাড়ছেন না এলিয়ট। ইংল্যান্ডের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতার একটি দলে নাম লিখিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাতে নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেটের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের পর দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া এলিয়ট অবসরের ঘোষণা দেন।
কলপ্যাক চুক্তি করা এলিয়ট ইংল্যান্ডের কাউন্টি দল বার্মিংহ্যাম বিয়ার্সে নিউ জিল্যান্ডের আরও দুই ক্রিকেটার কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ও জিতান প্যাটেলের সঙ্গে যোগ দিবেন। এর মানে তিনি দেশের হয়ে আর খেলবেন না এবং তাকে কাউন্টি ক্রিকেটে বিদেশি খেলোয়াড় হিসেবে ধরা হবে না।
নিউ জিল্যান্ডের পেসার টিম সাউদি ও অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের সঙ্গে একটি ছবি টু্ইটারে পোস্ট করে ৩৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার লেখেন, "ব্ল্যাক ক্যাপসের সঙ্গে খেলতে দারুণ লাগতো। এই পথে চলতে চলতে কিছু বিশেষ বন্ধুত্বও তৈরি হয়েছে। এমন একটি দলীয় পরিবেশ আমি কখনো ভুলবো না।"
ছন্দে থাকার সময় ব্যাট হাতে বিধ্বংসী এবং সুইং বোলার হিসেবে কার্যকর ছিলেন এলিয়ট। ২০১৫ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে দারুণ নৈপুণ্যের জন্য নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেটে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন তিনি।
টুর্নামেন্টের সহ-আয়োজক নিউ জিল্যান্ডের ফাইনালে ওঠার পিছনে বড় ভূমিকা ছিল এলিয়টের। অকল্যান্ডে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেমি-ফাইনালে ডেল স্টেইনের করা ইনিংসের শেষ ওভারের পঞ্চম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেছিলেন, ৮৪ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
ব্যাট হাতে মেলবোর্নের ফাইনালেও জ্বলে ওঠেন এলিয়ট। দলের সর্বোচ্চ ৮৩ রানের ইনিংস খেলেন। তবে ৭ উইকেটে জিতে শিরোপা নিজেদের করে নেয় অস্ট্রেলিয়া।