হাথুরুসিংহে-ওয়ালশের ক্লাসে মুস্তাফিজ

চোট থেকে ফেরার পর এখনও সীমিত ওভারের ক্রিকেটে নিজের ছন্দটা পুরোপুরি পাননি মুস্তাফিজুর রহমান। বাঁহাতি এই পেসারকে পুরানো রূপে ফেরাতে মরিয়া চন্দিকা হাথুরুসিংহে ও কোর্টনি ওয়ালশ। দুই কোচ লম্বা সময় ধরে আলাদাভাবে কাজ করেছেন মুস্তাফিজের সঙ্গে।

ক্রীড়া প্রতিবেদককলম্বো থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 March 2017, 01:53 PM
Updated : 31 March 2017, 09:35 AM

বাংলাদেশের অনুশীলনে প্রায় প্রতিদিন কোনো না কোনো ব্যাটসম্যানের সঙ্গে আলাদাভাবে কাজ করতে দেখা যায় হাথুরুসিংহেকে। এদিন ছিল ব্যতিক্রম। বাংলাদেশের প্রধান কোচকে দেখা গেল মুস্তাফিজের সঙ্গে লম্বা সময় ধরে কথা বলতে।
 
সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম ও ইমরুল কায়েসকে তিন নেটে ঘুরে ফিরে বোলিং করেন মুস্তাফিজ। প্রায় আধ ঘণ্টার এই সেশনে শিষ্যর প্রতিটি বল পেছনে দাঁড়িয়ে দেখেন হাথুরুসিংহে।
 
নেট বোলিং শেষ হতেই মুস্তাফিজকে নিয়ে সেন্টার উইকেটে যান ওয়ালশ। স্পট বোলিংয়ের পাশাপাশি এই সময়ে মুস্তাফিজের ডেলিভারি আর ফলোথ্রু নিয়েও কাজ করেছেন ওয়ালশ।
 
কাঁধের অস্ত্রোপচারের আগে ওয়ানডেতে কোনো ম্যাচে ওভারে ৬ এর ওপরে রান দেননি মুস্তাফিজ। নিউ জিল্যান্ড সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার পর চার ম্যাচে সেই অভিজ্ঞতা হয়েছে তিনবার।
 
ক্রাইস্টচার্চে ১০ ওভারে ৬২ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ২ উইকেট। নেলসনে ৯.২ ওভারে ৩২ রানে পেয়েছিলেন ২ উইকেট।
 
শ্রীলঙ্কায় প্রথম ওয়ানডেতে ৮.১ ওভারে ৫৬ রান দিয়ে মুস্তাফিজ নেন ৩ উইকেট। ওভার প্রতি খরচ করেন ৬.৮৫। পরিত্যক্ত হওয়া দ্বিতীয় ম্যাচে আরও খরুচে ছিলে বাঁহাতি এই পেসার। ৮ ওভারে ৬০ রানে নেন ১ উইকেট, ওভার প্রতি খরচ ৭.৫০।
 
ওয়ানডেতে মুস্তাফিজের সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের পর তাকে নিয়ে আলাদা কাজ করেছেন দুই কোচ। তবে অনুশীলনের মাঝে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় হাথুরুসিংহে জানিয়েছেন, মুস্তাফিজের বোলিং নিয়ে কোনো দুর্ভাবনা নেই তাদের।
 
“ও (প্রথম ম্যাচে) তিন উইকেট পেয়েছিল, এটা ভালো। ভিন্ন ভূমিকায় খেলছে এখন, ওকে আমরা পরে ব্যবহার করছি। মুস্তাফিজকে নিয়ে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।”
 
ডাম্বুলা রনগিরি স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ম্যাচে ২ ওভারের প্রথম স্পেলে ১৭ রান দিয়েছিলেন মুস্তাফিজ। ৩ ওভারের দ্বিতীয় স্পেলে এসেছিল ২৬ রান। তৃতীয় স্পেলে মেলে সাফল্য, ২ ওভারে ১১ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। তার ১ ওভারের শেষ স্পেলে আসে ৬ রান।