হলো না পুনরাবৃত্তি
চার বছর আগে ঠিক এই ২৮ মার্চ পাল্লেকেলেতে শ্রীলঙ্কার মুখেমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। আগের ব্যাট করে শ্রীলঙ্কা ছাড়িয়েছিল তিনশ। পরে বৃষ্টিতে বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়িয়েছিল ২৭ ওভারে ১৮৩। সেই রান তাড়া করে শ্রীলঙ্কার মাটিতে প্রথম জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। এবারও শ্রীলঙ্কা ছাড়ালো তিনশ। নামল বৃষ্টি। কিন্তু এবার আর থামল না। দেখা হলো না, রান তাড়ায় বাংলাদেশ পারত কিনা!
কলম্বোতে শেষ ম্যাচেই তাই সিরিজের ফয়সালা হবে। জিতলে সিরিজ বাংলাদেশের। শ্রীলঙ্কার সিরিজ জয়ের আশা শেষ। কেবল ড্র করতে পারে তারা পরের ম্যাচ জিতে।
আগামী শনিবার ম্যাচটি হবে কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে, যে মাঠে সাধারণত টেস্ট ম্যাচই বেশি হয়। সবশেষ ওয়ানডে হয়েছিল ৬ বছর আগে। ফ্লাডলাইট নেই এই মাঠে, এটি হবে তাই দিনের ম্যাচ।
শঙ্কায় ম্যাচ
বাংলাদেশ সময় রাত নটার দিকে একটু ছুট দিয়েছিল বৃষ্টি। কিন্ত খানিক পরই নেমেছে আবার। খেলা শুরু হওয়ার শেষ সময় বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১০টা। তবে বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হলে, মাঠের অবস্থা খারাপ থাকলে আম্পায়াররা চাইলে ম্যাচের ইতি টানতে পারেন আগেই।
বৃষ্টিতে বাংলাদেশের ইনিংস শুরু হতে দেরি
বাংলাদেশের রান তাড়া যখন শুরু হওয়ার কথা, উইকেট-মাঠ তখন ঢাকা কাভারে। ইনিংস বিরতিতেই নেমেছে বৃষ্টি। হালকা বৃষ্টি দিয়ে শুরু হলেও পরে একটু বেড়েছে বেগ। বাংলাদেশের ইনিংস শুরু হতে তাই হচ্ছে দেরি।
টস জিতে উপুল থারাঙ্গার চাওয়া ছিল অন্তত ২৭০-২৮০ রান। শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক পেলেন তার চেয়ে ঢের বেশি।
দ্বিতীয় উইকেটে মেন্ডিসের সঙ্গে জুটিতে বড় স্কোরের ভিত্তি গড়ে দিয়েছিলেন থারাঙ্গাই। দারুণ সেঞ্চুরিতে পরে এগিয়ে নিয়েছেন মেন্ডিস। পরে কার্যকর দুটি ইনিংস খেলেছেন মিলিন্দা সিরিবর্দনা ও আসেলা গুনারত্নে।
শেষ ওভারে তাসকিনের হ্যাটট্রিকে শ্রীলঙ্কা থামে ৩১১ রানে। আগে ব্যাট করে ২৩ ইনিংসে এই নিয়ে নবমবার বাংলাদেশের বিপক্ষে তিনশ করল শ্রীলঙ্কা।
শেষ ওভারে তাসকিনের হ্যাটট্রিক!
ইনিংস জুড়ে শ্রীলঙ্কার দাপুটে ব্যাটিংয়ের পর শেষ ওভারে উল্টো নাটকীয়তা। টানা তিন বলে উইকেট নিয়ে তাসকিন গুটিয়ে দেন শ্রীলঙ্কাকে।
শেষ দিকে রান বাড়ানোর কাজটা বলতে গেলে একাই করেছেন গুনারত্নে। তবে ইনিংস শেষ করে আসতে পারেননি। তাসকিনের ফুল লেংথ বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েছেন মিড অফে। তবে তার আগে পরিস্থিতির দাবি মিটিয়ে খেলেছেন ২৮ বলে ৩৯ রানের দারুণ ইনিংস।
পরের বলেই উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দিলেন সুরাঙ্গা লাকমল। হ্যাটট্রিক বল তাসকিন করলেন ইয়র্কার। নুয়ান প্রদিপ হাঁকালেন। বল উড়িয়ে দিল বেলস। হ্যাটট্রিক!
বাংলাদেশের পঞ্চম বোলার হিসেবে তাসকিন ওয়ানডেতে হাটট্রিক করলেন। ৪৭ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট।
মুশফিক আবার!
থিসারা পেরেরাকে রান আউট করেছিলেন গ্লাভস খুলে। দিলরুয়ান পেরেরার ক্ষেত্রে সেটির সময়ও পাননি মুশফিক। কিপারের কাছে বল রেখেই রান নিতে ছুটেছিলেন পেরেরা। মুশফিকের আন্ডার আর্ম থ্রো লাগে স্টাম্পে।
থিসারা পেরেরার মত দিলরুয়ান পেরেরাও রান আউট ৯ রানে। ৪৮.২ ওভারে শ্রীলঙ্কা ৭ উইকেটে ৩০০।
ঝড়ের আগেই শেষ পেরেরা
আগের ম্যাচে দলের বিপর্যয়েও ঝড়ো এক অর্ধশতক করেছিলেন থিসারা পেরেরা। এদিনও ঝড় তোলার মঞ্চ ছিল প্রস্তুত। কিন্তু ৯ রানেই তাকে রান আউট করলেন মুশফিক।
লেগ স্টাম্পে থাকা বলটিতে টাইমিং করতে পারেননি পেরেরা। বল ছিল পেছনেই, ছুটেছিলেন রান নিতে। মুশফিক ত্বরিত গ্লাভস খুলে সরাসরি থ্রোয়ে বল লাগান স্টাম্পে। শ্রীলঙ্কা তখন ৪৬.৪ ওভারে ৬ উইকেটে ২৮০।
মিরাজই ফেরালেন সিরিবর্দনাকে
আগের ওভারে ক্যাচ ছেড়েছিলেন সিরিবর্দনার। মিরাজ সেটি পুষিয়ে দিলেন নিজেই আউট করে। সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
৩০ রানে ফিরলেন সিরিবর্দনা। শ্রীলঙ্কা ৪৫.৪ ওভারে ৫ উইকেটে ২৭১।
আরেকটি জুটির পঞ্চাশ
সেঞ্চুরির পর মেন্ডিসকে ফেরানো গেলেও খুব একটা বেগ দেওয়া যায়নি শ্রীলঙ্কাকে। মিলিন্দা সিরিবর্দনা ও আসেলা গুনারত্নে জুটি বেধে এগিয়ে নিচ্ছেন শ্রীলঙ্কাকে। পঞ্চম উইকেট জুটিতেও রান ছাড়িয়ে গেছে পঞ্চাশ। ৪১ বলে হয়েছে জুটির অর্ধশত।
দুটি সুযোগ অবশ্য পেয়েছিল বাংলাদেশ। ১২ রানে গুনারত্নে জীবন পেয়েছেন মিরাজের বলে মুশফিক স্টাম্পিংয়ের সুযোগ ছাড়ায়। পরে সেই মিরাজই অনেকটা দৌড়ে বল হাতে নিয়েও জমাতে পারেননি, ২৪ রানে মাশরাফির বলে জীবন পান সিরিবর্দনা।
তাসকিনের ‘যন্ত্রণাময়’ উইকেট
ব্যাট হাতে বাংলাদেশকে যথেষ্ট যন্ত্রণা দিয়েছেন কুসল মেন্ডিস। সেই যন্ত্রণা খানিকটা শরীরেও টের পেলেন তাসকিন আহমেদ।
ফুল লেংথ বলে গায়ের জোরে বোলারের দিকেই তুলে মেরেছিলেন মেন্ডিস। বল লাগে তাসকিনের কাঁধের দিকে। ব্যথা পেলেও তাসকিন সামলে নেন দ্রুত। বল তখন বাতাসে। দ্রুত ঘুরে সেটি নেন ক্যাচ। যন্ত্রণাক্লিষ্ট মুখেই তাসকিনের উইকেট উদযাপন!
১০৭ বলে ১০২ রানে ফিরলেন মেন্ডিস। শ্রীলঙ্কা তখন ৩৭.৪ ওভারে ৪ উইকেটে ২১৬।
অবশেষে মুস্তাফিজের উইকেট
বাংলাদেশের রিভিউয়ে বেঁচেছিলেন চান্দিমাল। টিকতে পারলেন না নিজে রিভিউ নিয়ে। অফ স্টাম্পের বাইরে এসে মুস্তাফিজকে সুইপ মত খেলতে গিয়েছিলেন। বল লাগে প্যাডে।
জোড়ালো আবেদনে অনেকটা সময় নিয়ে আঙুল তোলেন আম্পায়ার এস রবি। আম্পায়ারকে এত সময় নিতে দেখেই হয়ত রিভিউ নেন চান্দিমাল। তবে বল লাগতো মিডল স্টাম্পে।
আগের ৫ ওভারে ৪৩ রান দেওয়ার পর এবার মুস্তাফিজ দেখলেন সাফল্যের মুখ।
২৪ রানে ফিরলেন চান্দিমাল। জুটি ছিল ৮৩ রানের। শ্রীলঙ্কা তখন ৩৬.৪ ওভারে ৩ উইকেটে ২১২।
মেন্ডিসের প্রথম সেঞ্চুরি
৯০ থেকে সাকিবকে টানা দুটি বাউন্ডারিতে ৯৮। পরের ওভারেই মাশরাফির বলে দুটি সিঙ্গেলে ১০০। কুসল মেন্ডিসের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি।
অথচ শুরুতে টাইমিংই করতে পারছিলেন না মেন্ডিস। ২৫ বলে রান ছিল ৭। বল ব্যাটের কানায় ছুঁয়ে স্লিপ দিয়ে চার পাওয়ার পর থেকেই ফিরে পান আত্মবিশ্বাস। পঞ্চাশ করছিলেন ৬৩ বলে। সেখান থেকে পরের পঞ্চাশ করতে লেগেছে ৩৯ বল।
গত নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৭৩ বলে ৯৪ করে আউট হয়েছিলেন। এবার পেয়ে গেলেন প্রথম সেঞ্চুরি।
৩৬ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কা ২ উইকেটে ২১০। জুটির রান হয়ে গেছে ৮১। মেন্ডিসের রান ১০০, চান্দিমাল ২৩।
অল্পের জন্য চান্দিমালের রক্ষা
কোনো কিছুতেই কাজ হচ্ছে না দেখে নিজেকে দ্বিতীয় স্পেলে এনেছিলেন মাশরাফি। ব্রেক থ্রু প্রায় পেয়েই গিয়েছিল বাংলাদেশ। দারুণ এক কাটারে বল লেগেছিল চান্দিমালের প্যাডে। জোড়ালো আবেদনেও সাড়া দেননি আম্পায়ার। মাশরাফি নেন রিভিউ।
বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায়, বল লাগছিল বেলসে! আর কয়েক সেন্টিমিটার নিচে লাগলেই আউট হতে পারতেন চান্দিমাল। আউট হতেন আম্পায়ার শুরুতে আউট দিলেও। বাঁচলেন ১৬ রানে। ৩৩.৪ ওভারে শ্রীলঙ্কার রান তখন ২ উইকেটে ১৯৩।
ঝড়ের গতিতে জুটির পঞ্চাশ
থারাঙ্গাকে হারানোর ধাক্কা দলকে বুঝতেই দিলেন না কুসল মেন্ডিস। ফ্রি হিটে ছক্কা মেরেছিলেন পরের বলেই। তার পরও খেলে গেছেন দারুণ সব শট। দিনেশ চান্দিমালের সঙ্গে দারুণ জুটিতে রান উঠেছে তুমুল গতিতে। অবশ্য জুটিতে নয়, বলা ভালো মেন্ডিসের ব্যাটে!
তৃতীয় উইকেট জুটির পঞ্চাশ হয়েছে মাত্র ৩৪ বলেই। তাতে চান্দিমালের রান ৮, বাকি ৪২ মেন্ডিসেরই!
নড়বড়ে শুরুর পর মেন্ডিস এখন এগোচ্ছেন দারুণভাবে। হাতছানি প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরির।
৩১ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কা ২ উইকেটে ১৮০। জুটির রান ৫১। ৮৯ বলে ৮৫ রানে খেলছেন মেন্ডিস, ৮ রানে চান্দিমাল।
মাশরাফি ছাড়া সুবিধে করতে পারেননি আর কোনো বোলার। ৫ ওভারে ৪৩ রান গুণেছেন মুস্তাফিজ। সাকিব ৬ ওভারে ৩৩। মোসাদ্দেকের ৩ ওভারে এসেছে ২৬।
মেন্ডিসের পঞ্চাশ
থারাঙ্গা রান আউট নো বলে। সেই ফ্রি হিটে কুসল মেন্ডিস মারলেন ম্যাচের প্রথম ছক্কা। মুস্তাফিজের ফুল লেংথ বল ওড়ালেন লং অন দিয়ে। পরের বলে দারুণ এক ড্রাইভে ছুঁলেন পঞ্চাশ।
শুরুটা হয়েছিল নড়বড়ে, কিন্তু সময়ের সঙ্গে মেন্ডিস হয়ে উঠছেন আত্মবিশ্বাসী। ৬৩ বলে স্পর্শ করেছেন অর্ধশতক, ২৪ ওয়ানডেতে যেটি তার নবম।
২৫ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কা ২ উইকেটে ১৪০। ৫৩ রানে খেলছেন মেন্ডিস, নতুন সঙ্গী দিনেশ চান্দিমাল।
বিমারে উইকেট!
কাজ হচ্ছিলো না কোনো কিছুতেই। জুটি ভাঙর পথ পাচ্ছিলো না বাংলাদেশ। থারাঙ্গা কেবলই খুলছিলেন হাত। হঠাৎই উইকেট ধরা দিল রান আউটে।
মুস্তাফিজের হাত থেকে বল ছুটে হয়ে গিয়েছিল বিমার। ডাইভ দিয়ে কোনো রকমে চার বাঁচতে পেরেছিলেন মুশফিক। নো বল। বল গেল স্কয়ার লেগে। কিন্তু রান নিতে গিয়ে ভুল বোঝাবুঝি। মাহমুদউল্লাহর সরাসরি থ্রোতে রান আউট থারাঙ্গা।
শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক ফিরলেন ৬৫ রানে। জুটি ভাঙল ১১১ রানে। ২৪.৪ ওভারে শ্রীলঙ্কা ২ উইকেটে ১২৯।
জুটির সেঞ্চুরি
তৃতীয় ওভারে উইকেট হারানোর পর জুটি বেধেছিলেন দুজন। সেই থেকেই দলকে টানছেন দুজন। উপভোগ করছেন পরস্পরের সঙ্গ। গড়ে উঠেছে জুটি। দ্বিতীয় উইকেটে যে জুটি ছাড়িয়ে গেছে শতরান।
সময়ের সঙ্গে বাড়ছে রানের গতিও। পঞ্চাশের পর শট খেলতে শুরু করেছেন থারাঙ্গা। মুস্তাফিজকে এক ওভারেই মেরেছেন দুটি চার।
অনভিজ্ঞ দলটির সবচেয়ে বড় ভরসা তিনি। শুধু অধিনায়কই নন, দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানও। দল তাকিয়ে তার দিকে। প্রথম ম্যাচে না পারলেও এবার উপুল থারাঙ্গার ব্যাটে দলের চাওয়ারই প্রতিফলন। নিজের দুইশতম ওয়ানডেতে বাঁহাতি এই ওপেনার তুলে নিয়েছেন ৩১তম অর্ধশতক।
শুরুতে উইকেট হারানোর পর থারাঙ্গার ব্যাটেই চাপ হয়েছে আড়াল। সময় নিয়ে থিতু হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন কুসল মেন্ডিস।
তাড়াহুড়ো ছিল না দুজনের ব্যাটে। ঠাণ্ডা মাথায় শুরুর ধাক্কা সামলে দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন দুজন। ৬৮ বলে থারাঙ্গা স্পর্শ করেছেন পঞ্চাশ।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৭ ম্যাচে এটি তার চতুর্থ অর্ধশতক। সেঞ্চুরি আছে আরও তিনটি।
পঞ্চাশ ছাড়িয়ে জুটি
শুরুর ফাঁস আলগা হতে শুরু করেছে আস্তে আস্তে। থারাঙ্গা ও মেন্ডিস ধীরে ধীরে এগিয়ে নিচ্ছেন শ্রীলঙ্কাকে।
থারাঙ্গা শুরু থেকেই মোটামুটি সাবলীল। ধুঁকছিলেন কুসল মেন্ডিস। তবে ভাগ্যের একটু সহায়তা স্বস্তিতে ফিরিয়ে তাকে। ৭ রানে মুস্তাফিজের বলে ব্যাটের কানায় লেগেও পেলেন চার। বল গেল কিপার ও স্লিপের মাঝ দিয়ে বাউন্ডারিতে। এরপর থেকেই একটু ফিরে পেয়েছেন নিজেকে।
১৫ ওভারে শ্রীলঙ্কা ১ উইকেটে ৭৮। ৪২ বলে ৩৮ রানে খেলছেন থারাঙ্গা, ৩৭ বলে ১৯ রানে মেন্ডিস। দ্বিতীয় জুটির রান ৬০।
আগের ম্যাচের মতোই প্রথম স্পেলে মাশরাফি ছিলেন দুর্দান্ত। ৫ ওভারে ১ মেডেন, ১৬ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট। তবে মুস্তাফিজের শুরুটা ভালো হয়নি। ২ ওভারে গুণেছেন ১৭ রান। তাসকিন ৩ ওভারে দিয়েছেন ১৪ রান। নতুন বলে মিরাজ ৪ ওভারে ১৯।
তৃতীয় ওভারে প্রথম উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ার চেষ্টা করছে শ্রীলঙ্কা। একটু একটু করে দলকে টানছেন উপুল থারাঙ্গা। সঙ্গী কুসল মেন্ডিস।
মেন্ডিস অবশ্য টাইমিং পাচ্ছেন না একটুও। মাশরাফির দারুণ বোলিংও দুই ব্যাটসম্যানকে খেলতে দেয়নি স্বস্তিতে। তবে আরেক পাশে মিরাজের অনভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চেষ্টা করেছেন থারাঙ্গা। মিরাজের এক ওভারে মেরেছেন দুটি চার। মুস্তাফিজের প্রথম ওভার থেকে এসেছে ৮ রান।
১০ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কা ১ উইকেটে ৪৮। ২৭ বলে ২৫ রানে খেলছেন থারাঙ্গা, ২২ বলে ৬ মেন্ডিস।
আবার মাশরাফি, দুর্দান্ত মুশফিক
আগের ম্যাচে প্রথম ওভারেই উইকেট নিয়েছিলেন মাশরাফি। এবার নিলেন নিজের দ্বিতীয় ওভারে। শিকার সেই একই, দানুশকা গুনাতিলাকা।
আগের বলেই দারুণ এক স্ট্রেট ড্রাইভে চার মেরেছিলেন গুনাতিলাকা। পরের বলটি মাশরাফি করলেন স্লোয়ার শর্ট বল। বাঁহাতি গুনাতিলাকা পুল করে বল তুললেন আকাশে। ছুটেছিলেন তিনজন ফিল্ডার। শেষ পর্যন্ত কিপিং থেকে ফাইন লেগের দিকে অনেকটা দৌড়ে দুর্দান্ত ডাইভিং ক্যাচ নিলেন মুশফিক।
৯ রানে আউট গুনাতিলাকা। শ্রীলঙ্কা ২.৩ ওভারে ১ উইকেটে ১৮।
২৭০-২৮০ রানের উইকেট?
লঙ্কান অধিনায়ক উপুল থারাঙ্গার এটি দুইশতম ওয়ানডে। টস জিতে বললেন, উইকেটে ঘাসের ছোঁয়া আছে। তবে ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো। লঙ্কান অধিনায়কের ধারণা, ২৭০-২৮০ রানের উইকেট এটি।
মাশরাফিরও ধারণা থারাঙ্গার মতোই। ভালো বোলিংয়ে লঙ্কানদের যত কমে সম্ভব আটকে রাখতে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক।
ম্যাচ জয়ী একাদশ বাংলাদেশের
টসের সময় মাশরাফি বিন মুর্তজা জানালেন, টস জিতলে ব্যাটিং নিতেন তিনিও। আগের ম্যাচের জয়ী একাদশই ধরে রেখেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ দল: মাশরাফি বিন মুর্তজা, তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, মেহেদী হাসান মিরাজ।
শ্রীলঙ্কা একাদশে তিন পরিবর্তন
প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়া শ্রীলঙ্কা আরেকটি বড় ধাক্কা খেয়েছে দ্বিতীয় ম্যাচের আগে। নিষেধাজ্ঞার খাড়ায় সেদিন খেলতে না পারা নিরোশান ডিকভেলার ফেরার কথা ছিল এই ম্যাচে। কিন্তু চোট তাকে ছিটকে দিয়েছে সিরিজ থেকেই। শ্রীলঙ্কা তার বদলে নিয়েছে টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশকে ভোগানো অফ স্পিনার দিলরুয়ান পেরেরাকে। পেস আক্রমণ আরও ক্ষুরধার করতে ফেরানো হয়েছে নুয়ান কুলাসেকারা ও নুয়ান প্রদিপকে।
বাদ পড়েছেন লাহিরু কুমারা, সাচিথ পাথিরানা ও লাকশান সান্দকান।