শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বড় জুটি গড়ার কাজে অনেকটাই ব্যর্থ বাংলাদেশ। এ পর্যন্ত ওয়ানডেতে একশ ছোঁয়া জুটি মোটে দুটি।
৩২২ ওয়ানডেতে সব মিলিয়ে ৭০টি শতরানের জুটি আছে বাংলাদেশের।
এর বিপরীতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডেতে লঙ্কানদের দুইশ রানের জুটি আছে তিনটি। একশ বা তার বেশি রানের জুটি আছে ২০টি।
একই ম্যাচে শ্রীলঙ্কার শতরানের জুটি আছে দুবার। রনগিরি ডাম্বুলা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমবারের মতো তাদের বিপক্ষে একই ম্যাচে দুটি শতরানের জুটি গড়ার সম্ভাবনা ছিল বাংলাদেশের। বাজে বলে সাব্বির রহমানের বিদায়ে তা হয়নি। তার সঙ্গে তামিমের দ্বিতীয় উইকেট জুটি থামে ৯০ রানে।
মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে খেলবে বাংলাদেশ। তার আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বিন মুর্তজা জানালেন, থিতু হওয়া ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে বড় ইনিংস চান তিনি। ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দেখতে চান বড় জুটি।
“জুটি ব্যাটসম্যানদেরই গড়তে হবে। সেটা যতটা সম্ভব বড় করতে হবে। ওদের নির্দিষ্ট কোনো বোলারকে লক্ষ্য করার দরকার নেই। বাজে বল পেলে আক্রমণ করতে হবে সব বোলারকেই।”
তামিমের ১২৭ রানের ইনিংস ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তবে তার সঙ্গে সাব্বিরের ৯০ আর সাকিবের ১৪৪ রানের জুটি দুটির অবদানও কম নয়। বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মনে করেন, সাকিবের সঙ্গে তার জুটি এত বড় না হলে খেলাটা ভিন্ন রকম হতে পারতো।
সেই ২০০৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম শতরানের জুটি পেয়েছিল বাংলাদেশ। কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে পঞ্চম উইকেটে ঠিক ১০০ রানের জুটি গড়েছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল ও মানজারুল ইসলাম রান।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় তিন অঙ্কের জুটির দেখা পেতে লেগেছে ১৩ বছর। অপেক্ষার প্রহর এবার নিশ্চয়ই এত লম্বা হতে দেবেন না বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। তারা বড় জুটি যত বেশি গড়বেন বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা তত বাড়বে।