অনুশীলনে ওয়ানডে মেজাজের ফিল্ডিং

‘কাম অন গাইস, ফাস্টার’ হঠাৎ শোনা গেল ফিল্ডিং কোচ রিচার্ড হ্যালসলের চিৎকার। ফিল্ডারকে বলছেন, অত সময় নিলে তো রান হয়ে যাবে। আরও তৎপর হও। হলেনও ক্রিকেটাররা। ফিল্ডিংয়ে উন্নতির চেষ্টায় থাকা ক্রিকেটাররা উপভোগও করলেন ঘাম ঝরানো অনুশীলন। 

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 March 2017, 03:20 PM
Updated : 21 March 2017, 03:24 PM

আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে দুপুরে মাঠে নেমে হালকা গা গরম করে নিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। কিছুক্ষণ ফুটবলও খেললেন। ফিল্ডিং অনুশীলন শুরুর আগে সবাইকে ডাকলেন কোচ। শুরুতে কথা বললেন কোর্টনি ওয়ালশ, শেষে মুশফিকুর রহিম। মাঝখানে লম্বা সময় নিয়ে বললেন হ্যালসল।   

গত কয়েক সিরিজ ধরে ফিল্ডিংয়ে ভালো করছে না বাংলাদেশ। নিউ জিল্যান্ডে সব ম্যাচ হারের পেছনে বড় দায় ছিল জরাগ্রস্ত ফিল্ডিংয়ের। ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও ভুগিয়েছে ফিল্ডিং, হতাশাজনক পারফরম্যান্স ছিল তার আগের আফগানিস্তান সিরিজেও।

সেখান থেকে বের হয়ে আসতে মরিয়া বাংলাদেশ। কলম্বো টেস্টে ব্যাটিং-বোলিংয়ের মতো উজ্জ্বল ছিল ফিল্ডিংয়েও। সেটা ওয়ানডেতেও নিয়ে আসার তাগিদ দিয়েছেন মাশরাফি। সাব্বির রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন, সৌম্য সরকারদের মধ্যে দেখা গেছে সেই প্রচেষ্টা।

টেস্টে ক্যাচিংয়ে যতটা মনোযোগ থাকে রান বাঁচানোর দিকে ততটা মনোযোগ থাকে না। বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে ওয়ানডের মতো ঝুঁকি নিয়ে খুব একটা রান নেওয়া হয় না। টানা পাঁচ টেস্ট খেলা বাংলাদেশের ফিল্ডারদের মধ্যে একটু আয়েশী ভাব হয়তো চলে আসতে পারে, সেটা ঠেকাতে প্রথম দিনই ফিল্ডারদের কঠোর পরিশ্রম করিয়েছেন হ্যালসল।

সীমানায় তিন চার জনের কাছে ক্যাচ গেলে কি করতে হবে, ব্যাটসম্যান দ্রুত রান নিলে কোন ফিল্ডার স্টাম্পের কাছে যাবে, কে ব্যাক আপ থাকবে তার অসংখ্য ড্রিল করিয়েছেন ফিল্ডারদের দিয়ে। কেউ একটু মন্থর হলেই হ্যালসল চিৎকার করছিলেন, ‘ফাস্টার দেন অ্যান অ্যাসাসিন’।

অনুশীলন শেষে সৌম্য বলছিলেন ফিল্ডিং নিয়ে, “টেস্টের ফিল্ডিংটা একটু অন্য রকম। কিন্তু ওয়ানডেতে সব কিছু খুব দ্রুত হয়। সেখাসে সব সময় তৎপর থাকতে হয়। ইনটেনসিটিটা তাই বাড়াতেই হবে। এখানে অনেক কঠিন ক্যাচ ধরতে হবে। এক-দুই রান নেওয়া যতটা সম্ভব কমাতে হবে। এই জন্য আজকের এই অনুশীলন খুব দরকার ছিল।”

ফিল্ডিংয়ে নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে

ওয়ানডে সিরিজে ভালো করার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে বাংলাদেশের।