টেস্টে শ্রীলঙ্কা যতটা ভয়ঙ্কর প্রতিপক্ষ, ওয়ানডেতে ততটা নয়। ৩৮ ম্যাচে চারটি জয় আছে বাংলাদেশের। সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা জিতেছে ৩৩টি ম্যাচ, অন্যটি পরিত্যক্ত।
বাংলাদেশের চার জয়ের তিনটি দেশের মাটিতে। ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কা সফরে পাল্লেকেলেতে প্রথমবারের মতো জিতেছিল বাংলাদেশ। সেবারই প্রথম দ্বীপ দেশটির বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ ড্র করেছিল তারা।
সেই সফরে প্রথম ম্যাচে ঝকঝকে এক শতক করেন তামিম ইকবাল। সেই ম্যাচে জেতেনি বাংলাদেশ। চোটের জন্য উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান খেলেননি শেষ দুই ওয়ানডে। বৃষ্টিতে ভেসে যায় দ্বিতীয় ওয়ানডে, ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে শেষ ম্যাচ ৩ উইকেটে জেতে বাংলাদেশ।
নিজেদের শততম টেস্টে রোববার শ্রীলঙ্কাকে প্রথমবারের মতো হারানো পর মুশফিক জানান, এই আত্মবিশ্বাস ওয়ানডেতেও নিয়ে যেতে চান তারা।
টেস্ট শেষে বিশ্রামেই আছেন ক্রিকেটাররা। সোমবার আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে প্রথম দিনের অনুশীলনে টেস্ট দলের কেউ ছিলেন না। জন্মদিন পালন করতে মুম্বাই গেছেন তামিম ইকবাল। অন্য ক্রিকেটাররা ঘুরছেন শ্রীলঙ্কাতেই।
অধিনায়ক মাশরাফির সঙ্গে অনুশীলনে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ, শুভাগত হোম চৌধুরী, নুরুল হাসান, সানজামুল ইসলাম। বুধবারের প্রস্তুতি ম্যাচে খেলার জন্য আসা আবুল হাসান ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনও ছিলেন অনুশীলনে।
শ্রীলঙ্কায় স্বাগতিকদের বিপক্ষে খেলা ১৬ ওয়ানডের ১৪টিতে হেরেছে বাংলাদেশ। একটি পরিত্যক্ত, জিতেছে অন্যটিতে। সেই ম্যাচই কি এবার অনুপ্রেরণা। অনুশীলন শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা মাশরাফি অবশ্য অতীত থেকে অনুপ্রেরণা খুঁজতেই রাজি নন।
অস্ত্রোপচারের জন্য ২০১৩ সালের সেই সফরে ছিলেন না সাকিব আল হাসান। ১-১ ব্যবধান টেস্ট সিরিজ ড্রয়ে এবার সবচেয়ে বড় অবদান ছিল বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডারেরই। ওয়ানডেতেও দল তার ওপর একইরকম নির্ভরশীল।
বিপিএলের ফাইনালে পাওয়া চোটের জন্য খেলা হয়নি মাশরাফিরও। নিউ জিল্যান্ডে পাওয়া চোট থেকে সেরে উঠে খেলতে এসেছেন। ছন্দে আছেন সাকিব-তামিমও। লঙ্কানদের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জেতার এটাই সুযোগ।
চোটের জন্য শ্রীলঙ্কা দলে নেই নিয়মিত অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। দলটি নিজেদের শেষ সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে এসেছে ৫-০ ব্যবধানে। বাংলাদেশ সিরিজে দলে এসেছে অনেক পরিবর্তন। হারের মধ্যে থাকা দলটিকে আরও চেপে ধরতে উন্মুখ হয়ে আছে বাংলাদেশ।