পরপর দুই দিনে দেখা গেছে যেন ভিন্ন দুই সাকিবকে। আগের দিন বিকেলে অপরাজিত ছিলেন ৮ বলে ১৮ রান করে। শেষ সময়েও প্রতিটি বলেই মেরেছেন তেড়েফুঁড়ে। সেটি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনাও হয়েছে প্রবল।
পরদিন সেই সাকিবই দারুণ স্থিতধী। ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলেছেন কম। উইকেট আঁকড়ে রেখেছেন। খেলেছেন ১১৬ রানের ইনিংস।
দিন শেষে টেন ক্রিকেটকে সাকিব জানালেন, মানসিকতা বদলেছেন অনেক ভেবে চিন্তেই।
“পুরোটাই মেন্টাল অ্যাডজাস্টমেন্টের ব্যাপার। কিছু কিছু সময়ে আমাদের সবাইকেই এটি করতে হয়। আমি ভাগ্যবান যে এবার সেটি করতে পেরেছি। গতকাল অনেক ভেবেছি, কঠিন ভাবে চিন্তা করেছি। ঠিক করেছি, ধৈর্য ধরে খেলাই হবে সঠিক অ্যাপ্রোচ।”
“দলের জন্য, নিজের জন্য সেঞ্চুরিটি দরকার ছিল। অবশ্যই এটা আমার ভালো ইনিংসগুলোর একটি। অনেক ধৈর্য ধরে খেলেছি। কঠোর পরিশ্রম করেছি। এই ধরনের উইকেটে ধৈর্য ধরা প্রয়োজন, উইকেটে যথেষ্ট সময় কাটানো প্রয়োজন। তাহলেই কেবল রান পাওয়া যায়। আমি ধৈর্য ধরেছি বলেই রান করতে পেরেছি।”
সাকিবের ভাবনায় সিদ্ধান্ত নিতে সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে প্রথম ইনিংসে দিনেশ চান্দিমালের সেঞ্চুরিটিও।
“দিনেশ চান্দিমালের ব্যাটিং দেখেও অনেক শিখেছি। সে যেভাবে উইকেটে ছিল, সেটাই চেষ্টা করেছি।”