ব্যাটের কানায় বলের আলতো ছোঁয়া বোঝা ভীষণ কঠিন হবে শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ সিরিজে। নেই হটস্পট ও রিয়েল টাইম স্নিকোর মতো প্রযুক্তি। বেনিফিট অব ডাউটে ব্যক্তিগত ৩৮ রানে বেঁচে যাওয়া চান্দিমাল অপরাজিত ৮৬ রানে।
পি সারা ওভালে প্রথম দিনের খেলা শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৩৮ রান। বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা সাব্বির রহমান জানান, চান্দিমালের আউট নিয়ে তারা শতভাগ নিশ্চিত ছিলেন।
“আমরা শতভাগ নিশ্চিত ছিলাম চান্দিমালেরটা ব্যাটের কানা নিয়েছে। স্নিকো না থাকার কারণে ওইটা হয় নাই। আমরা সব সময় চাপ তৈরি করেছি যার জন্য সুযোগগুলো এসেছে। এটা আম্পায়ার হয়তো ভুল সিদ্ধান্ত দিয়েছে। আমরা চেষ্টা করবো যে তিন উইকেট আছে সেগুলো দ্রুত তুলে নিতে।”
ম্যাচের সেটি ৩৯তম ওভারের ঘটনা। সাকিবের ভেতরে ঢোকা বল কানা নিয়ে যায় স্লিপে। তৎপর থাকা সৌম্যর তালুবন্দি করতে কোনো সমস্যা হয়নি। আম্পায়ার সুন্দরম রবি আবেদনে সাড়া দিয়ে আউট দেন।
সাথে সাথেই রিভিউ নেন চান্দিমাল। স্নিকো, হটস্পট না থাকায় অনেকবার রিপ্লে দেখেও বল ব্যাট স্পর্শ করেছে কি না নিশ্চিত হতে পারেননি তৃতীয় আম্পায়ার মারাইস এরাসমাস। বেনিফিট অব ডাউটে বেঁচে যান চান্দিমাল।
ব্যক্তিগত ৪৬ রানে আবার চান্দিমালের সহায় সেই বেনিফিট অব ডাউট। এবার তাইজুল ইসলামকে সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ দেন চান্দিমাল। ফাইন লেগ থেকে অনেকটা দৌড়ে ঝাঁপিয়ে বল তালুবন্দি করেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
“ওইটা ফিফটি-ফিফটি চান্স ছিল। সেটাকে মিরাজ শতভাগে পরিণত করতে চেয়েছিল। ও অনেক ভালো ফিল্ডার। ও বুঝতে পারেনি বল মাটি ছুঁয়েছে কিনা। ও নিশ্চিত ছিল না। তাই তৃতীয় আম্পায়ারকে দেওয়া হয়েছিল।”
সেই চান্দিমালের ব্যাটে প্রথম ইনিংসে তিনশ’ রানের পথে রয়েছে শ্রীলঙ্কা।