‘ঠুকে ঠুকে সারাদিন খেলা কঠিন’

সৌম্য সরকার ছুটছিলেন ঝড়ের গতিতে। তামিম ইকবাল পড়েছিলেন উইকেট আঁকড়ে। কোনটি সঠিক পথ? গল টস্টের চতুর্থ দিন শেষ হয়েছিল এই প্রশ্ন নিয়ে। খেলা শেষেও উঠল একই প্রশ্ন।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 March 2017, 11:48 AM
Updated : 11 March 2017, 02:48 PM

গত কিছুদিনে বাংলাদেশের প্রতিটি টেস্ট শেষেই অবশ্য এই প্রশ্ন অবধারিত। প্রতিবারই ম্যাচ বাঁচানোর সুযোগ আসে, ব্যাটিং ব্যর্থতায় পারে না বাংলাদেশ। গলেও শেষ দিনে ৯৮ ওভার ব্যাটিংয়ের চ্যালেঞ্জ নিতে পারেনি দল। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটেও গুটিয়ে গেছে ৬০ ওভারেই।

আগের দিন বিকেলে ৪৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন সৌম্য। তার ইনিংসটি ধরেই সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন উঠল, এটিই কি সঠিক পথ? মুশফিক সায়ই দিলেন সৌম্যর পথচলায়।

“প্রতিপক্ষ যখন দেখবে আমাদের জয়ের কোনো সম্ভাবনাই নাই, তখন কিন্তু নানাভাবে আক্রমণ করবে। স্লিপে ফিল্ডার থাকবে, সিলি পয়েন্টে থাকবে, ক্যাচিংয়ে অনেকগুলো ফিল্ডার থাকবে। এই অবস্থায় ঠুকে ঠুকে সারাদিন খেলা খুব কঠিন। এ ক্ষেত্রে সহজাত খেলাটাই খেলা উচিত। তবে অবশ্যই কম ঝুঁকির শটই খেলতে হবে। সে দিক থেকে বলব, সৌম্য গতকাল যেটি মারার বল, সেটিই মেরেছে। তবে আজ যেভাবে শুরু করেছে, সেটা হতাশাজনক।”

আগের আরও অসংখ্যবারের মত অধিনায়ক আবারও বললেন ব্যাটসম্যানরা থিতু হলে দায়িত্ব নেওয়ার কথা। অযুতবারের মত শোনালেন ভুল থেকে শেখার প্রত্যয়।

“আগের দিন দুইশ করলেও পরের দিন নতুনভাবে শুরু করতে হবে। নইলে দলের জন্য চাপ হয়ে যায়। কারণ আমাদের সবার গড়ই ৩০-৩৫ এর মধ্যে। তাই যারা সুযোগ পাবে, তাদের উচিত দায়িত্ব নিয়ে খেলা। বিশেষ করে ওপরের পাঁচ-ছয় জন ব্যাটসম্যানের উচিত আরও দায়িত্ব নেওয়া। পরের টেস্টে এ রকমই যেন আমাদের পরিকল্পনা থাকে।”

পরিকল্পনা নিশ্চয়ই গলেও ছিল। পরের টেস্টেও থাকবে। কিন্তু বাস্তবায়ন কতটা হবে?