বিপজ্জনক কিছু অবশ্য হয়নি। কোনো কিছুর ধোঁয়া থেকেই ওই বিপত্তি। মিনিট বিশেক পর খেলা শুরু হয়ে আবার একটু আগেভাগে শেষ হয়েছে আলোকস্বল্পতায়। ফায়ার এলার্ম বাজলেও দিন শেষে কোনো দলের বিপদঘণ্টা বাজেনি। ডানেডিন টেস্টে দুই দলের লড়াই চলছে সমানে সমান।
দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি উপহার দিয়েছেন কেন উইলিয়ামসন। দারুণ বোলিংয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন কেশভ মহারাজ। প্রথম ইনিংসে ৩৩ রানের লিড পেয়েছিল নিউ জিল্যান্ড। দিন শেষে সেটি পুষিয়ে ৫ রানে এগিয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে হারাতে হয়েছে একটি উইকেটও।
শুক্রবার উইলিয়ামসনের ব্যাটে তাকিয়ে শুরু হয়েছিল কিউইদের দিন। অধিনায়ক নিরাশ করেননি। বরাবরের নির্ভরতায় এগিয়ে নিয়েছেন দলকে। করেছেন ষোড়শ টেস্ট সেঞ্চুরি।
নাইটওয়াচম্যান জিতান প্যাটেল বা দলে ফেরা জিমি নিশাম পারেননি টিকতে। অধিনায়ককে সঙ্গ দেন বিজে ওয়াটলিং। ষষ্ঠ উইকেটে দুজনের জুটি ৮৪ রানের।
উইলিয়ামসনের দারুণ ইনিংস শেষ হয়েছে দুর্দান্ত এক বলে। দ্বিতীয় নতুন বলে কাগিসো রাবাদার বাড়তি বাউন্সে ফিরেছেন ১৩০ রানে। উইকেটকিপার ওয়াটলিং ফেরেন পঞ্চাশ ছুঁয়েই।
নিউ জিল্যান্ড লিড পায় মূলত নিল ওয়াগনারের ব্যাটে। দশে নেমে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৩২ করেন এই পেসার। আগে দিন চোটে মাঠ ছাড়া রস টেইলর খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ব্যাটিংয়ে নামেন শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে। মারেন একটি ছক্কাও। কিউইদের লিড বাড়ে আরেকটু।
শেষ উইকেট নিয়ে মহারাজ পূরণ করেছেন ৫ উইকেট। পঞ্চম টেস্টে প্রথমবার ৫ উইকেটের দেখা পেলেন বাঁহাতি এই স্পিনার।
ঘাটতি পোষানোর চেষ্টায় প্রোটিয়াদের শুরু আরও ঘাটতিতে। প্রথম ওভারেই ট্রেন্ট বোল্টের সুইংয়ের শিকার স্টিভেন কুক।
প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান ডিন এলগার ও হাশিম আমলা বাকি সময়টা খেলেছেন ভালোভাবেই। তিন দিন শেষে ম্যাচও দাঁড়িয়ে রোমাঞ্চের মোড়ে। সম্ভব এখনও সব ফলই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ৩০৮
নিউ জিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ১১৪.৩ ওভারে ৩৪১ (আগের দিন ১৭৭/৩)(উইলিয়ামসন ১৩০, টেলর ১৫*, প্যাটেল ১৬, নিশাম ৭, ওয়াটলিং ৫০, স্যান্টনার ৪, ওয়াগনার ৩২, বোল্ট ২*; রাবাদা ১/৯২, ফিল্যান্ডার ২/৬৭, মর্কেল ২/৬২, মহারাজ ৫/৯৪, দুমিনি ০/১৮)।
দক্ষিণ আফ্রিকা ২য় ইনিংস: ১৮ ওভারে ৩৮/১ (কুক ০, এলগার ১২*, আমলা ২৩*; বোল্ট ১/৬, ওয়াগনার ০/৮, স্যান্টনার ০/৬, প্যাটেল ০/১৫)।