শেষ ইনিংসে ১৮৭ রানের লক্ষ্য এই উইকেটে এমনিতেই ছিল কঠিন। অশ্বিনের স্পিন মাস্টারক্লাসে অস্ট্রেলিয়া যেতে পারল না ধারে কাছেও। গুটিয়ে গেল ১১২ রানে। এই ম্যাচে ৭৫ রানের জয়কে বলতে হয় বিশাল ব্যবধান!
প্রথম ইনিংসে ৮৭ রানে পিছিয়ে থাকা আর উইকেট ও পরিস্থিতির কথা বিবেচনায় নিলে ভারতের এই জয় সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম সেরা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু লোকেশ রাহুলের ব্যাটে। এরপর তৃতীয় দিন বিকেলে পুজারা ও রাহানের অসাধারণ জুটি। সিরিজের প্রথম উইকেটবিহীন সেশন।
সেঞ্চুরি না পাওয়ার হতাশা থাকলেও পুজারা জানতেন, জয়ের রান হয়ে গেছে। অস্ট্রেলিয়া ইনিংস যত এগিয়েছে, ততই প্রমাণ হয়েছে তা।
ম্যাট রেনশকে এবার লম্বা সময় টিকতে দেনি ইশান্ত শর্মা। অশ্বিনের শুরু ডেভিড ওয়ার্নারকে ফিরিয়ে। আউট হওয়ার পাশাপাশি একটি রিভিউ নষ্ট করেন ওয়ার্নার। যেটির খেসারত বাজেভাবে দিতে হয় পরে।
অস্ট্রেলিয়ার ভরসা হয়ে তবু ছিলেন স্মিথ। অধিনায়ক খেলছিলেন দারুণ। কিন্তু এমন এক বলে আউট হলেন, যেটায় করার ছিল সামান্যই। যাদবের বল পিচ করার পর আর উঠলোই না। লাগল প্রায় গোড়ালিতে, এলবিডব্লিউ।
ম্যাচের ভাগ্য অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায় তখনই। চা বিরতির পর দ্রুতই ম্যাচ শেষ করে দেন অশ্বিন। ১১ রানে অস্ট্রেলিয়া হারায় শেষ ৬ উইকেট।
২৬৯ উইকেট নিয়ে ৪৭ টেস্টেই ছাড়িয়ে গেলেন বিষেন সিং বেদির ৬৭ টেস্টে ২৬৬ উইকেট। পূর্ণ করেছেন দেশের মাটিতে ২০০ উইকেটও।
তবে বোলারদের ম্যাচেও দুই ইনিংসে অর্ধশতকে ম্যাচের সেরা লোকেশ রাহুল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত ১ম ইনিংস: ১৮৯
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ২৭৬
ভারত ২য় ইনিংস: ২৭৪
অস্ট্রেলিয়া ২য় ইনিংস: ৩৫.৪ ওভারে ১১২ (লক্ষ্য ১৮৮) (ওয়ার্নার ১৭, রেনশ ৫, স্মিথ ২৮, শন মার্শ ৯, হ্যান্ডসকম ২৪, মিচেল মার্শ ১৩, ওয়েড ০, স্টার্ক ১, ও’কিফ ২, লায়ন ২, হেইজেলউড ০*; ইশান্ত ১/২৮, অশ্বিন ৬/৪১, উমেশ ২/৩০, জাদেজা ১/৩)।
ফল: ভারত ৭৫ রানে জয়ী
সিরিজ: ৪ ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা