২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজের দুই টেস্টের সর্বশেষটি খেলেছিলেন মুস্তাফিজ। বাঁহাতি এই তরুণ পেসার চোটের জন্য খেলতে পারেনি ইংল্যান্ড, নিউ জিল্যান্ড ও ভারতের বিপক্ষে তিনটি টেস্ট সিরিজে। অস্ত্রোপচার শেষে গত নিউ জিল্যান্ড সফর দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা এই ২১ বছর বয়সী পেসার প্রস্তুত টেস্টে একাদশে ফিরতে।
মুস্তাফিজের অনুপস্থিতির সময়ে আলো ছড়িয়েছেন তরুণ অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। অনূর্ধ্ব-১৯ দলে দুই জন খেলেছেনও এক সঙ্গে। দুই প্রতিভাবান তরুণকে গল টেস্টের একাদশে পেয়ে রোমাঞ্চিত অধিনায়ক।
“এটা অবশ্যই আমাদের জন্য বিশাল অ্যাডভানটেজ। আমাদের যে মানের স্পিনার আছে তার সঙ্গে মুস্তাফিজ ফিট হয়ে উঠেছে। এটা আমাদের জন্য বড় একটা প্লাস পয়েন্ট।”
বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের সঙ্গে বাঁহাতি স্পিনে আছেন তাইজুল ইসলাম। মিরাজের সঙ্গে আছেন আরেক অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ। মুস্তাফিজের সঙ্গী গতির ঝড় তোলা তাসকিন আহমেদ।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এর আগে মাত্র একটি ম্যাচই খেলেছেন মুস্তাফিজ। গত বছরের এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টির সেই ম্যাচে মুস্তাফিজের বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা আছে কেবল দিনেশ চান্দিমালের। দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচেও একমাত্র তারই সুযোগ মিলেছে তরুণ বাঁহাতি পেসারকে সামলানোর।
প্রথমবারের মতো মুস্তাফিজকে সামলাতে গিয়ে বেশিরভাগ সময়ই ভুগেছে প্রতিপক্ষ। গল টেস্টেও তেমন কিছুরই প্রত্যাশায় আছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।