মুশফিকের নিবেদন প্রশ্নাতীত। বাংলাদেশের সবচেয়ে পরিশ্রমী ক্রিকেটার অধিনায়ক নিজেই। অনুশীলনে সবার আগে আসা, সবার পরে যাওয়াটা নিয়মিত চিত্রই। কিপিং ছাড়ার পরও এখানে আসেনি কোনো পরিবর্তন। যথারীতি নিজের কাজেই মগ্ন হয়ে আছেন তিনি।
মোরাটুয়া থেকে গলে আসার পর রোববার ঐচ্ছিক অনুশীলন ছিল বাংলাদেশ দলের। সাব্বির রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন, কামরুল ইসলাম রাব্বিদের সঙ্গে ছিলেন মুশফিকও। স্টেডিয়ামের নেটে প্রায় দুই ঘণ্টা ব্যাটিং করেন তিনি।
মুশফিকের ব্যাটিংয়ের ভক্ত কম নেই। নেটেই এবার গলের অনেকের মন জয় করে ফেলেছেন তিনি। সেই কথাই বলছিলেন তরুণ ডানহাতি পেসার দিলান।
“আমরা তাকে লম্বা সময় ধরে বল করেছি। তিনি টেস্ট ম্যাচের বিভিন্ন পরিস্থিতি বলছিলেন, সেই অনুযায়ী ফিল্ডিং পজিশন কি থাকবে বলে দিচ্ছিলেন। আমরা বলের পর বল করে যাচ্ছিলাম, তিনি পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাট করে যাচ্ছিলেন। একবারের জন্যও উল্টা-পাল্টা কোনো শট খেলতে দেখিনি।”
নেটে ব্যাটিংয়ের পর লম্বা সময় ধরে অ্যানালিস্টের সঙ্গে বসে নিজের ব্যাটিং বিশ্লেষণ দেখেন মুশফিক। চার নম্বরে খেলার প্রস্তুতি নেওয়া ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান গলে নিজের শেষ ইনিংসে করেছিলেন ২০০ রান। অধিনায়কের কাছ থেকে এ রকম বড় ইনিংসের পুনরাবৃত্তিই দেখতে চাইবে দল।
মুশফিক ছয় থেকে চারে উঠে আসায় দলের খুব বড় কোনো পরিবর্তন হবে এমনটা মনে করছেন না তামিম। বাঁহাতি এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মনে করেন, মাহমুদউল্লাহও দলের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটসম্যান। চারের মতো ছয় নম্বরের ব্যাটিংয়ের গুরুত্বও কম নয়।
সাবেক অধিনায়ক ও দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ মনে করেন, মুশফিকের চার নম্বরে উঠে আসা টেস্টে বাংলাদেশের জন্য হতে পারে অনেক বড় একটি ব্যাপার।
“মুশফিক বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলবে, এভাবেই কথা হয়েছে। মুশফিকও এই সিদ্ধান্তটা ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, মুশফিক এই সংস্করণে আমাদের এক নম্বর ব্যাটসম্যান। ও যদি উপরের দিকে ব্যাটিং করে, তাহলে আরো বেশি চেষ্টা করতে পারে। ও ব্যাটিংটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।”
সাবেক এই অলরাউন্ডার উদাহরণ হিসেবে আনলেন কুমার সাঙ্গাকারা, ব্রেন্ডন ম্যাককালামদের কথা। তাদের দেখিয়ে অনেক দিন ধরে মুশফিককে শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলার কথা বলা হচ্ছিল। অধিনায়ক যদি সেই পথে হাঁটতে পারেন, টেস্টে আরও খানিকটা এগোতে পারে বাংলাদেশ।