‘বাংলাদেশের সিরিজ জেতা উচিত’

প্রতিপক্ষের প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা রেখেই তামিম ইকবাল মনে করছেন, শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশের সিরিজ জেতা উচিত। নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে লঙ্কায় রেকর্ড না পাল্টানোর কোনো কারণ দেখেন না তিনি।

ক্রীড়া প্রতিবেদক গল থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 March 2017, 12:30 PM
Updated : 5 March 2017, 03:20 PM

গত সফরে ড্র করা গল টেস্ট বাদ দিয়ে শ্রীলঙ্কায় খেলা বাকি ৯ টেস্টেই হেরেছে বাংলাদেশ। সেগুলোও বিশাল ব্যবধানে। শুরুতে মুত্তিয়া মুরালিধরন, শেষের দিকে কুমার সাঙ্গাকারা, মাহেলা জয়াবর্ধনেরা ব্যবধান গড়ে দিতেন। এখন তো তাদের কেউ-ই নেই। অভিজ্ঞ রঙ্গনা হেরাথ আর তরুণ ক্রিকেটার যারা আছেন তাদের প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা আছে অতিথি দলের। কিন্তু সামর্থ্যের বিচারে নিজেদেরকেই এগিয়ে রাখছেন তারা।  

গল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে আসা সহ-অধিনায়ক তামিমের কণ্ঠে শোনা গেল সেই সুর।

“আমরা সবাই একটা জিনিস জানি, এটা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা সিরিজ। আর এটা এমন একটা সিরিজ, আমরা মনে করি, আমাদের জেতা উচিত। আমরা যদি সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারি, আমাদের খুব ভালো সম্ভাবনা থাকবে। কোনো সন্দেহ নেই, ওরা তরুণ, ভালো একটি দল। তবে আমরা যদি নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলি অবশ্যই আমাদের সম্ভাবনা থাকবে।”

সর্বশেষ দুই সফরে ভারত ও নিউ জিল্যান্ডের বাংলাদেশ গিয়েছিল ‘আন্ডারডগ’ হয়ে। এবার নিজেদের ‘ফেভারিট’ ভাবছে তারা। দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ বললেন তেমনটাই।

“আগের বাংলাদেশ এবং বর্তমান শ্রীলঙ্কার দলের মধ্যে পার্থক্য আছে। ওদের এখন সাঙ্গাকারা-জয়াবর্ধনে-দিলশান নাই। ওদের বর্তমান দলটা তরুণদের দিয়ে পূর্ণ। ওরা খেলেও খুব ভালো। কিন্তু আমি বলবো, এই সিরিজে বাংলাদেশই ফেভারিট। এখানে টেস্ট জেতা সম্ভব।”

মুশফিকুর রহিমদের ভারত ও নিউ জিল্যান্ড সফরের ভুলগুলো দ্রুত শোধরানোর তাগিদ দিয়েছেন সাবেক এই অধিনায়ক। ভুল শোধরানোর সঙ্গে গলের তীব্র গরমও জয় করতে হবে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। নেটে দুই ধাপে ব্যাটিং অনুশীলন করার সময়ই তামিম টের পেয়েছেন মাঠে গরম কতটা ভোগাবে। বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের বিশ্বাস, টেস্ট শুরুর আগেই আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবেন তারা।

“আবহাওয়া বলেন বা অন্য যা কিছুর কথাই বলেন, ছেলেরা প্রস্তুত হচ্ছে। আমরা সিরিজের গুরুত্ব সবাই জানি। ৭ মার্চের আগেই সবাই পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিবে। ছেলেরা সবাই খুব সিরিয়াস। আমি নিশ্চিত, সবাই মানসিকভাবে প্রস্তুত হয়ে আছে।”

এবারের সফরে বাড়তি একটা সুবিধাও পাচ্ছে বাংলাদেশ। প্রধান কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহে, ব্যাটিং কোচ থিলান সামারাবিরা, ট্রেনার মারিও ভিল্লাভারায়ন সবাই শ্রীলঙ্কার। স্বাগতিকদের বর্তমান দল সম্পর্কে তাদের সবারই ভালো ধারণা রয়েছে। তামিম তাকিয়ে আছেন, কোচদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য মাঠে ঠিকঠাক কাজে লাগানোর দিকে। 

“শ্রীলঙ্কায় বড় হয়েছে, ওদের জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করেছে, এমন কেউ যখন আপনার সাপোর্টিং স্টাফে থাকবে, তার তথ্য তো অবশ্যই কাজে দিবে। এখন কথা হচ্ছে, কতটুকু কাজে লাগবে সেটা নির্ভর করছে আমাদের ওপর, আমরা কতটা কাজে লাগাতে পারি তার ওপর। তথ্য তো দুনিয়ার সবাই দিতে পারে। মাঠে গিয়ে কাজে লাগানোটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় ব্যাপার।”

গরম জয় করে হাথুরুসিংহে-সামারাবিরাদের তথ্য ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পারলে এবার শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশের টেস্ট ভাগ্য বদলাতেও পারে।