টানা ৭ সিরিজ জয়ে শীর্ষেই দক্ষিণ আফ্রিকা

নিউ জিল্যান্ডের টপ ও মিডল অর্ডারে ছোবল দিলেন পেসাররা। দুর্দান্ত বোলিংয়ে আরও চেপে ধরলেন ইমরান তাহির। রান তাড়ার শুরুটা ভালো না হলেও শেষ পর্যন্ত জয়টা হলো অনায়াস। টানা সপ্তম সিরিজ জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা নিশ্চিত করল র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 March 2017, 10:11 AM
Updated : 4 March 2017, 10:36 AM

শেষ ওয়ানডেতে অকল্যান্ডে নিউ জিল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সিরিজ জিতে নিল ৩-২ ব্যবধানে। কিউইদের ১৪৯ রানে গুটিয়ে প্রোটিয়ারা ম্যাচ জিতে নেয় ১০৬ বল বাকি রেখে।

২০১৫ সালে বাংলাদেশে সিরিজ হারের পর এই নিয়ে টানা সাতটি সিরিজ জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা। ধরে রাখল আইসিসি ওয়ানডে র‌্যঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান। নিউ জিল্যান্ড দেশের মাটিতে হারল টানা আট সিরিজ পর। সবশেষ ২০১৪ সালে হেরেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার কাছেই।

আগের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের তুলোধুনো করেছিলেন মার্টিন গাপটিল। এদিন সেই গাপটিলকে ফিরিয়েই প্রোটিয়া বোলারদের দাপট শুরু। আগের ম্যাচে অপরাজিত ১৮০ রান করা ব্যাটসম্যানকে বোল্ড করে দেন কাগিসো রাবাদা।

নতুন বলে অসাধারণ বোলিংয়ে সুর বেধে দেন রাবাদাই। ক্রিস মরিস ও আ্দিল ফিলুকওয়েয়ো দিয়েছেন যোগ্য সঙ্গ। ফিল্ডিংও ছিল দুর্দান্ত। ৭২ রানেই নিউ জিল্যান্ড হারায় ৫ উইকেট।

জেমস নিশাম চেষ্টা করেছেন পাল্টা আক্রমণের। মিচেল স্যান্টনার চেষ্টা করেছেন প্রতিরোধের। টিকতে পারেননি কেউই। কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের ৩২ রানে নিউ জিল্যান্ড যেতে পারে দেড়শর দোড়গোড়ায়।

শুরু, মাঝে আর শেষে তিনবার আঘাত রাবাদার, ২৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে তিনিই ম্যাচ সেরা। ১০ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে ২ উউইকেট নিয়েছেন তাহির। নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে ও দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে কোনো স্পিনারের সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলিং এটিই।

ছোট পুঁজি নিয়েই লড়াইয়ের চেষ্টা করেছেন কিউই বোলাররা। ৪৮ রানে তুলে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। কিন্তু এক পাশ আগলে দলকে এগিয়ে নেন ফাফ দু প্লেসি। ২১ বলে ২৩ রানের কার্যকরী ইনিংসে ফাঁস আলগা করেন এবি ডি ভিলিয়ার্স।

পরে ৩৫ বলে ৪৫ রানের ঝড়ে জয় ত্বরান্বিত করেন ডেভিড মিলার। ৯০ বলে ৫১ রানে অপরাজিত থেকে যান দু প্লেসি।

দুর্দন্ত বোলিংয়ে ম্যাচ সেরা রাবাদা। সিরিজ সেরার পুরস্কার নেই। থাকলে নিশ্চিত ভাবেই পেতেন ডি ভিলিয়ার্স। ৮৭.৩৩ গড়ে ও ১০৭.৮১ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ২৬২ রান।

সেটি নিয়ে অবশ্য আক্ষেপ থাকার কথা নয় তার। সিরিজ জয়ে ট্রফি হাতে হাসিটা চওড়াই ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়কের।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

নিউ জিল্যান্ড: ৪১.১ ওভারে ১৪৯ (গাপটিল ৪, ব্রাউনলি ২৪, উইলিয়ামসন ৯, টেলর ৮, রনকি ৮, নিশাম ২৪, স্যান্টনার ২৪, ডি গ্র্যান্ডহোম ৩২, সাউদি ৬, প্যাটেল ০, বোল্ট ০*; রাবাদা ৩/২৫, মরিস ১/৩৪, তাহির ২/১৪, ফিলুরকওয়েয়ো ২/৩৫, প্রিটোরিয়াস ০/৩৬)।

দক্ষিণ আফ্রিকা: ৩২.২ ওভারে ১৫০/৪ (ডি কক ৬, আমলা ৮, দু প্লেসি ৫১*, দুমিনি ৩, ডি ভিলিয়ার্স ২৩, মিলার ৪৫*; প্যাটেল ২/২৬, বোল্ট ০/৪৪, সাউদি ০/৪০, ডি গ্র্যান্ডহোম ১/১৬, স্যান্টনার ০/৯, নিশাম ১/১০)।

ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৬ উইকেটে জয়ী

সিরিজ: ৫ ম্যাচ সিরিজ দক্ষিণ আফ্রিকা ৩-২ ব্যবধানে জয়ী

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: কাগিসো রাবাদা