৩৩ ছুঁইছুঁই স্মিথকে এখন ক্রিকেট বিশ্ব চেনে মূলত টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ হিসেবে। কিন্তু আবির্ভাবে সাড়া জাগিয়েছিলেন টেস্ট দিয়ে। ২০০৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কেপ টাউনে তার অসাধারণ সেঞ্চুরিতেই ম্যাচ বাঁচাতে পেরেছিল ওয়স্ট ইন্ডিজ।
শন পোলক, মাখায়া এনটিনি, আন্দ্রে নেল, জ্যাক ক্যালিসদের গুঁড়িয়ে স্মিথ সেঞ্চুরি করেছিলেন ৯৩ বলে। সে সময় যেটি ছিল অভিষেকে দ্রুততম সেঞ্চুরির বিশ্ব রেকর্ড। সেই রেকর্ড ২০১৩ সালে ভেঙে দেন শিখর ধাওয়ান, ৮৫ বলে সেঞ্চুরি করে।
অমন অভিষেকের পরও টেস্টে নিজেকে আর মেলে ধরতে পারেননি। টেকনিক ও টেম্পারামেন্টে দুর্বলতা ও অন সাইডে বেশি খেলার প্রবণতা মিলিয়ে পারেননি সফল হতে। অভিষেকের পর আরও ৯ টেস্ট খেলে পঞ্চাশও ছুঁতে পারেননি একবারও। ২০০৬ সালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে নেপিয়ার টেস্টের পর আর সুযোগ পাননি সাদা পোশাকে।
মারমুখী ব্যাটিং আর কার্যকর সিম বোলিং নিয়ে অবশ্য সীমিত ওভারে সুযোগ পেয়েছেন একটু বেশি। যদিও রেকর্ড খুব ভালো নয় রঙিন পোশাকেও। ১০৫ ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি নেই। ৮ অর্ধশতকে ১ হাজার ৫৬০ রান ১৮.৫৭ গড়ে। উইকেট ৬১টি। ৪৫ রানে ৫ উইকেট সেরা বোলিং, ৪ উইকেট নিয়েছেন আরও ৩ বার।
টি-টোয়েন্টিতেও গড় প্রায় একই, ১৮.১৮। ৩৩ ম্যাচে ৩ অর্ধশতকে রান ৫৮২। উইকেট ৭টি।
২০১৫ বিশ্বকাপের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে আর সুযোগ পাননি কোনো সংস্করণেই। অভিষেক টেস্টের সেঞ্চুরির পর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে অর্জন বলতে ২০১২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য থাকা। ছিলেন ২০০৭ ও ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলেও। ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে ছিলেন ২০০৭ বিশ্বকাপের স্কোয়াডে।
বিশ্বজুড়ে টি-টোয়েন্টি লিগগুলোর প্রসারের পর স্মিথের ক্যারিয়ার পায় নতুন মাত্রা। নিয়মিত খেলেন প্রায় সব লিগেই। বারবাডিয়ান অলরাউন্ডার চালিয়ে যাবেন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খেলা।