এর কিছুক্ষণ আগেই ঝকঝকে এক ইনিংস খেলে স্বেচ্ছায় মাঠ ছেড়েছেন মুমিনুল হক। তাকে অনুরসণের কোনো আগ্রহ দেখা গেল না তামিমের মধ্যে। সাম্প্রতিক সময়ে ভালো খেলতে খেলতে আউট হয়ে যাওয়া এই ব্যাটসম্যান দেখালেন বড় ইনিংস খেলতে তিনি কতটা মরিয়া।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রেকর্ড খুব একটা ভালো নয় তামিমের। ওয়ানডেতে গড় ৩০ ছোঁয়া। টি-টোয়েন্টিতে ১১.৬৬। টেস্টে ১০ ইনিংসে একবার লঙ্কানদের বিপক্ষে অর্ধশতক ছুঁতে পেরেছেন। ১৯.৯৮ গড়ে রান ১৯৮।
টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শতকের রেকর্ডধারী তামিম শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন অঙ্ক ছুঁতে পারেননি একবারও। সর্বোচ্চ ৫৭। শতকের আক্ষেপ ঘোচাতে উন্মুখ বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান প্রস্তুতিটা কাজে লাগিয়েছেন দারুণ ভাবে।
শুরুতে সতর্ক ব্যাটিংয়ে উইকেটে থিতু হন তামিম। ১০৭ বলে পঞ্চাশ ছুঁতে হাকান মাত্র ৫টি চার। বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের পরে ক্রিজে আসা মুমিনুল হক অর্ধশতক করেন তার আগে।
তামিমের দ্বিতীয় অর্ধশতক আসে মাত্র ৩৭ বলে। সব মিলিয়ে ১৪৪ বলে ৭টি চার আর ৫টি ছক্কায় তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন তিনি। ৮৬ থেকে সেঞ্চুরি স্পর্শ করতে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান খেলেন মাত্র ৩ বল।
প্রভিন জয়াবিক্রমাকে লংঅন দিয়ে চার হাঁকানোর পর বোলারের মাথার ওপর দিয়ে মারেন বিশাল দুটি ছক্কা। চা-বিরতিতে যাওয়ার সময় তামিম অপরাজিত ১৩৬ রানে। পরে আর নামেননি। তার ১৮২ বলের ইনিংসটি গড়া ৯টি চার ও ৭টি ছক্কায়। তার সঙ্গে ১০ রানে ব্যাট করছেন সাকিব আল হাসান।
তামিমের সঙ্গে ১৪৩ রানের জুটিতে ১০৩ বলে ১০টি চারে ৭৩ রান করে ফিরেন মুমিনুল হক। ৭৫ রানের জুটিতে মুশফিকুর রহিমের অবদান ২১ রান। দ্বিতীয় সেশন শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২৬৪/৩।