বাজে বলের জন্য অসীম ধৈর্য নিয়ে অপেক্ষা করা তামিম ইকবাল ও মুমিনুল হক সেই ফাঁদে পা দেননি। অফ স্টাম্পের বাইরের বল নিয়মিত ছেড়েছেন, স্টাম্পের বল খেলেছেন সতর্কতার সঙ্গে। বাজে বলকে বুঝিয়ে দিয়েছেন প্রাপ্য।
মোরাটুয়ার ডি জয়সা স্টেডিয়ামে প্রথম শ্রেণির ম্যাচ এখন আর হয় না। ক্লাব ক্রিকেটের বাইরে অতিথি দলের প্রস্তুতি ম্যাচ আয়োজনেই সীমাবদ্ধ এই মাঠের ক্রিকেট। এক সময়ে গতিময় বাউন্সি উইকেট থাকলেও এখন স্পিনাররা খানিকটা সহায়তা পান, তারপরও উইকেট পুরোপুরি ব্যাটিং সহায়কই। সেই সুবিধাটুকু নিতে পারলেন না সৌম্য।
খুব বেশি দর্শক নেই মাঠে, যারা আছে তাদের দৃষ্টি ক্ষণে ক্ষণে আকাশের দিকে যাচ্ছে। আকাশে যুদ্ধ বিমান উড়িয়ে ৬৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করছে শ্রীলঙ্কান বিমান বাহিনী। সেই দিকে মনোযোগ নেই একজনের। নিবিষ্ট মনে বাংলাদেশের টপ অর্ডারের তিন ক্রিকেটারের ব্যাটিং দেখেছেন লঙ্কান দলের অ্যানালিস্ট। টুকে নিয়েছেন পেস-স্পিনে বাংলাদেশের তিন বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের শক্তি-দুর্বলতা।
টস জিতে মুশফিকুর রহিমের দলকে ব্যাটিংয়ে পাঠান শ্রীলঙ্কা বোর্ড সভাপতি একাদশের অধিনায়ক দিনেশ চান্দিমাল। প্রথম দেখায় মাঠ থেকে উইকেট আলাদা করাই কঠিন। মাঠের কোনো অংশই পুরোপুরি সবুজ নয়, উইকেটও তেমনই। ঘাস থাকলেও উইকেট একটু গ্রিপ করেছিল।
আউট ফিল্ড খুব একটা দ্রুতগতির নয়। রান নেওয়ার জন্যও মরিয়া ছিলেন না তামিম-মুমিনুল। তারপরও সহজেই এল রান, প্রথম সেশনেই তিন অঙ্ক স্পর্শ করে বাংলাদেশের স্কোর।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাম্প্রতিক সময়ে বড় রান না পেলেও তামিমকে খুব একটা ভোগাতে পারছেন না বোলাররা। পারেননি লঙ্কানরাও। ৯৩ বলে বাংলাদেশের সেরা উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান লাঞ্চের সময় অপরাজিত ৩৮ রানে।
দশম ওভারে ক্রিজে আসা মুমিনুল খেলেছেন আক্রমণাত্মক ঢংয়ে। অবিচ্ছিন্ন ৮১ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তার অবদান ৬৮ বলে ৪৮ রান। তাদের দৃঢ়তায় প্রথম সেশনে সৌম্যকে হারিয়ে ১ উইকেটে ১০৭ রান তুলেছে বাংলাদেশ।
প্রস্তুতি ম্যাচে কামরুল ইসলাম রাব্বি, সাব্বির রহমান, রুবেল হোসেন ও মোসাদ্দেক হোসেনকে বিশ্রাম দিয়েছে অতিথিরা। আগের দিন টিম মিটিংয়েই আলোচনা হয়েছে, গল টেস্টে কিপিং করবেন না মুশফিক। সাব্বিরকে বাদ দিয়ে প্রস্তুতি ম্যাচে লিটন দাসকে খেলানোয় অধিনায়কের বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলার সম্ভাবনা আরও দৃঢ় হয়েছে।