ধিমানের সেঞ্চুরি, ব্যাটে-বলে উজ্জ্বল আলাউদ্দিন

জাতীয় লিগের প্রথম ম্যাচে করেছিলেন ৮৬, শেষ ম্যাচে ৯৭। বিসিএলে আরও দুবার ছাড়ান পঞ্চাশ। কিন্ত তিন অঙ্ক ছোঁয়া হচ্ছিলো না। অবশেষে ধরা দিল অধরা সেই মাইলফলক। মৌসুমে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন ধিমান ঘোষ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Feb 2017, 12:48 PM
Updated : 28 Feb 2017, 12:48 PM

আগের দিন সেঞ্চুরি করেছিলেন নাঈম ইসলাম ও নাজমুল হোসেন শান্ত। এদিন করলেন ধিমান। এরপর ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট চালালেন আলাউদ্দিন বাবু। উত্তরাঞ্চল উঠল রান পাহাড়ে।

মধ্যাঞ্চলের দুর্ভোগের শেষ নয় এখানেই। ব্যাটের পর বল হাতেও আলো ছড়ালেন আলাউদ্দিন। তৃতীয় দিনেই তাই একরকম নির্ধারিত হয়ে গেল ম্যাচের ভাগ্য।

বিসিএলের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা উত্তরাঞ্চল আরও সংহত করার পথে অবস্থান। সিলেটে মধ্যাঞ্চল দাঁড়িয়ে ইনিংস পরাজয়ের সামনে।

১৩৩ রানে দিন শুরু করে নাঈম এগোতে পারেননি আর খুব একটা। ১৪২ রানে তাকে ফেরানোর পর বাঁহাতি স্পিনার মোশাররফ ফিরিয়ে দেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার ফরহাদ রেজাকে। ধিমান দলকে এগিয়ে নেন আলাউদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে।

নবম উইকেটে এই দুজন গড়েন ৬০ রানের জুটি। ধিমান প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে একাদশ সেঞ্চুরি তুলে নেন ১১৩ বলে।

শেষ উইকেটে ইয়াসিন আরাফাতকে নিয়েও ৩১ রানের জুটি গড়েন আলাউদ্দিন, তাতে ইয়াসিনের অবদান শূন্য! চার ছক্কায় ৫৪ রান করে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন আলাউদ্দিন।

প্রথম ইনিংসে ৩৫৬ রানে পিছিয়ে থাকা মধ্যাঞ্চল দ্বিতীয় ইনিংসে শুরু করেছিল দারুণ। আব্দুল মজিদ ও সাইফ হাসান উদ্বোধনী জুটিতে তোলেন ৭০ রান।

৪৪ বলে ৪৩ করে মজিদ স্টাম্পড হন নাঈমের বলে। তরুণ সাইফ খেলছিলেন দুর্দান্ত। দ্বিতীয় উইকেটে মেহরাব জুনিয়রের সঙ্গে গড়েন ৫৩ রানের জুটি। মধ্যঞ্চল তখন ম্যাচ বাঁচানোর আশায়। তখনই আবার দৃশ্যপটে আলাউদ্দিন। 

এক স্পেলে চার উইকেট নিয়ে আলাউদ্দিনই গুড়িয়ে দিলেন মধ্যাঞ্চলের ম্যাচ বাঁচানোর আশা। পরপর দুই ওভারে ফেরালেন মেহরাব ও সাইফকে। ৮ চার ও ২ ছক্কায় সাইফ করেছেন ৯৮ বলে ৭০।

সেই ধাক্কা সামাল দেওয়ার আগেই আবার আলাউদ্দিনের জোড়া আঘাত। এবার পরপর দুই ওভারে তার শিকার মার্শাল আইয়ুব ও ফর্মে থাকা নুরুল হাসান।

এরপর উইকেট পড়েছে টপাটপ। ম্যাচ শেষ হতে পারত তৃতীয় দিনেই। শেষ ঘন্টায় তানবির হায়দার ও মোহাম্মদ শরিফের প্রতিরোধে ম্যাচ গড়ায় শেষ দিনে। অবিচ্ছিন্ন নবম উইকেটে দুজনের জুটি ৪২ রানের।

শেষের ওই জুটিতে ম্যাচের দৈর্ঘ্য একটু বেড়েছে। তবে ফল নিয়ে সংশয় আছে সামান্যই। ইনিংস পরাজয় এড়াতেই মধ্যাঞ্চলের চাই আরও ১২৭ রান!

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

মধ্যাঞ্চল ১ম ইনিংস: ১৮১

উত্তরাঞ্চল ১ম ইনিংস: ১৩৪.৫ ওভারে ৫৩৭ (আগের দিন ৪২২/৬) (নাঈম ১৪২, ধিমান ১১৩, ফরহাদ ২, আলাউদ্দিন ৫৪, ইয়াসিন ০*; শরিফ ২/১২৫, মোশাররফ ৩/১২৫, শাহাদাত ২/১১১, শরিফুল্লাহ ২/৬৫, তাইবুর ১/৮০, তানবির ০/২৭)।

মধ্যাঞ্চল ২য় ইনিংস: ৬৪ ওভারে ২২৯/৮ (সাইফ ৭০, মজিদ ৪৩, মেহরাব ১৪, মার্শাল ৮, তাইবুর ৪, নুরুল ১৮, তানবির ৪২*, শরিফু্ল্লাহ ২, মোশাররফ ৩, শরিফ ১৯*; আলাউদ্দিন ৪/৫৫, সানজামুল ১/৮৯, নাসির ০/২৩, ফরহাদ ১/২৭, নাঈম ১/৭, ইয়াসিন ১/২৭)।