বিসিএলে টানা তৃতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরি করে অপরাজিত নাঈম। শান্ত করেছেন প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে তৃতীয় সেঞ্চুরি। সিলেটে বিসিএলের পঞ্চম রাউন্ডের দ্বিতীয় দিন শেষে উত্তরাঞ্চলের রান ৬ উইকেটে ৪২২।
আগের দিন মধ্যাঞ্চল গুটিয়ে গিয়েছিল ১৮১ রানেই। দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে দিনটা স্বস্তিতে শেষ করতে পারেনি উত্তরাঞ্চলও।
দ্বিতীয় দিন অভিজ্ঞ জুনায়েদ সিদ্দিককেও হারায় উত্তরাঞ্চল। রান তখন ৪ উইকেটে ১০৪। লড়াই চলছে জমজমাট। নাঈম ও শান্তর জুটিতে সেই লড়াই হয়ে গেল এক তরফা!
দল বিপাকে থাকলেও শান্তর ব্যাটে ছিল পাল্টা আক্রমণের সুর। ব্যাট করেছেন ওয়ানডে মেজাজে। নাঈমের ব্যাটে সবসময়ের নির্ভরতা। এগিয়েছেন উইকেট আঁকড়ে রেখে নিজের সবসময়ের চেনা পথে। দুই জমানার দুই ব্যাটসম্যানের দুই ধরনের ব্যাটিংয়ে খেই হারিয়েছে বোলাররা।
শান্তর পর নাসির হোসেন ফিরে যান অল্পতেই। তবে ধীমান ঘোষকে নিয়ে মধ্যাঞ্চলকে ম্যাচে ফিরতে দেননি নাঈম। ধিমানও রান করেছেন বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। দিন শেষে ৬৪ রানে অপরাজিত ৭৫ বলে। অবিচ্ছিন্ন সপ্তম উইকেট জুটির রান ১০৯।
২১৮ বলে নাঈম স্পর্শ করেছেন তিন অঙ্ক। দিন শেষ করেছেন ২৭৫ বলে ১৩৩ রানে।
প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে নাঈমের এটা ২১তম সেঞ্চুরি। তুষার ইমরানের সেঞ্চুরির রেকর্ড ছোঁয়া থেকে দূরত্ব মাত্র একটির। এবারের বিসিএলে পাঁচ ম্যাচে নাঈমের এটি চতুর্থ সেঞ্চুরি।
দুই দিন বকি থাকতে ২৪১ রানে এগিয়ে উত্তরাঞ্চল। মধ্যাঞ্চলের ম্যাচ বাঁচানো এখনই মনে হচ্ছে বহু দূরের পথ!
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
মধ্যাঞ্চল ১ম ইনিংস: ১৮১
উত্তরাঞ্চল ১ম ইনিংস: ১০৯ ওভারে ৪২২/৬ (আগের দিন ৬৩/৩) (জুনায়েদ ৪১, নাঈম ১৩৩*, শান্ত ১২৩, নাসির ৮, ধিমান ৬৪*; শরিফ ১/৯৯, মোশাররফ ১/৭৮, শাহাদাত ২/৯১, শরিফুল্লাহ ২/৬৫, তাইবুর ০/৫৮, তানবীর ০/২৭)