টেস্টে নতুন অস্ত্রের খোঁজে মুস্তাফিজ

চোট কাটিয়ে নিজেকে পুরোপুরি ফিরে পেয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। ছন্দে ফেরার সঙ্গে নিজের বোলিংকে আরও কার্যকর করতে প্রাণপণে খাটছেন এই তরুণ বাঁহাতি পেসার।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Feb 2017, 01:34 PM
Updated : 25 Feb 2017, 01:34 PM

মাত্র দুটি টেস্ট খেলা মুস্তাফিজ হতে পারেন শ্রীলঙ্কা সফরে টেস্টে বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে বৃষ্টির দাপটে বলই হাতে নেওয়ার সুযোগ হয়নি বাঁহাতি এই পেসারের। প্রথম টেস্টে ঠিকঠাক বল করার সুযোগ মিলেছিল মাত্র এক ইনিংসে। সেবার নিয়েছিলেন ৪ উইকেট।

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও খুব বেশি ম্যাচ খেলেননি মুস্তাফিজ। তবে এরই মধ্যে বুঝতে পেরেছেন তার সেরা অস্ত্র স্লোয়ার ও কাটার বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে খুব একটা কার্যকর নাও হতে পারে। তাই গতি বাড়ানোর সঙ্গে সুইং নিয়েও কাজ করছেন ২১ বছর বয়সী এই পেসার।

২০১৫ সালের জুলাইয়ে চট্টগ্রামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকে হাশিম আমলাকে দিয়ে শিকার শুরু করেন মুস্তাফিজ। পরে চার বলের মধ্যে তুলে নেন টেম্বা বাভুমা, জেপি দুমিনি ও কুইন্টন ডি ককের উইকেট।

উইকেট গ্রিপ করলে যে কোনো ধরনের ক্রিকেটে সমান ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন মুস্তাফিজ। বাঁহাতি এই পেসার নিজেকে তৈরি করছেন, যে কোনো উইকেটে সমান কার্যকর হয়ে উঠার জন্য। লম্বা সময় ধরে স্পট বোলিংয়ের সঙ্গে কাজ করছেন অন্যান্য বৈচিত্র্য নিয়ে।

চোট কাটিয়ে ফিরে নিউ জিল্যান্ডের কন্ডিশনে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে খুব একটা কার্যকর ছিলেন না বাঁহাতি এই পেসার। খেলেননি টেস্ট সিরিজে। ছন্দ ফিরে পেতে ভারত সফরে না গিয়ে খেলেন বিসিএলে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দুই ম্যাচে তার পারফরম্যান্স আশা দেখাচ্ছে দলকে। শ্রীলঙ্কা সফর দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে ফিরতে পারেন মুস্তাফিজ। টেস্টে ২০ উইকেট পেতে তার ওপরই অনেকটা নির্ভর করতে পারে দল।

“বিসিএলে দুটি ম্যাচ খেললাম, ওখানে জোরে বল করার চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি সুইং করানোর চেষ্টা করেছি। আমার কাটার কিংবা স্লোয়ার চারদিনের ম্যাচে তত কার্যকর হয় না। তবে ভালো জায়গায় ধারাবাহিক ছন্দে বল করার চেষ্টা করেছি।”

শ্রীলঙ্কার প্রথাগত উইকেট বানিয়ে বোলিং অনুশীলন করানো হচ্ছে বাংলাদেশের বোলারদের। স্পট বোলিং থেকে শুরু করে সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা এখানেই সেরেছেন মুস্তাফিজরা।

চোট কাটিয়ে ফিরে শুরুতে বেশ ভুগতে হয়েছে তাকে। ছিলেন না নিজের সেরা ছন্দে, ছিল অস্বস্তি। বিসিএলে খেলে সব পিছনে ফেলে এই তরুণ এখন প্রস্তুত নিজেকে উজাড় করে দিতে।

“অনেকদিন বাইরে ছিলাম। চোটের পর নিউজিল্যান্ড সফরে থাকলেও টেস্টে খেলতে পারিনি। ইনজুরির পরে খেলার অভ্যাস ছিল না। ভারতে আমি যেতে পারিনি, তবে বিসিএলের দুটি ম্যাচ খেলায় আমার জন্য খুব ভালো হয়েছে।”

প্রথম ওই দুই ম্যাচের চার ইনিংসের তিনটিতেই উইকেট পেয়েছেন মুস্তাফিজ। আঁটসাঁট বোলিংয়ে ব্যাটসম্যানদের ওপর চাপ তৈরি করে সতীর্থদের উইকেট নেওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন। তার উপস্থিতিই অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমকে এনে দিতে পারে বাড়তি আত্মবিশ্বাস।