সেঞ্চুরির পর ফরহাদ ফিরেছিলেন কাজ অর্ধসমাপ্ত রেখেই। সেটুকু শেষ করেছেন নাঈম। হার না মানা ইনিংসে বাঁচিয়েছেন দলকে। ম্যাচের পরিস্থিতি বিবেচনায় দক্ষিণাঞ্চলের বিপক্ষে উত্তরাঞ্চলের এই ড্র জয়ের সমানই।
বিকেএসপিতে দক্ষিণাঞ্চলের ৫০১ রানের জবাবে প্রথম ইনিসে মাত্র ২৪২ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল উত্তরাঞ্চল। কিন্তু ফলো অনের পর দারুণ লড়াইয়ে দলকে উদ্ধার করলেন ফরহাদ ও নাঈম।
পৌনে ৫ ঘণ্টা উইকেটে থেকে ১১৯ রান করেছেন ফরহাদ। নাঈম উইকেটে কটিয়েছেন সোয়া ৬ ঘণ্টা। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ১২৯ রানে।
চলতি মৌসুমে ফরহাদের এটি তৃতীয় সেঞ্চুরি। আর বিসিএলের চার ম্যাচেই নাঈমের সেঞ্চুরি হলো তিনটি!
সব মিলিয়ে নাঈমের এটি ক্যারিয়ারের ২০তম সেঞ্চুরি। ফরহাদের সেঞ্চুরি ১৫ টি।
দুজনের জুটি জমে গিয়েছিল আগের দিন বিকেলেই। বুধবার শেষ দিন সকালেও সেটি আরও টেনে নেন দুজন। ২০৭ বলে ফরহাদ স্পর্শ করেন সেঞ্চুরি।
লাঞ্চের আগে ফরহাদকে আউট করে ১৩৬ রানের জুটি ভাঙেন রুবেল। রানের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ছিল ওভার। প্রায় ৪৩ ওভার উইকেটে কাটান দুজন।
ধীমানকে বোল্ড করে এই জুটি ভাঙার পর আরিফুল হককে ফেরান নাহিদুল। কিন্তু সপ্তম উইকেটে সোহরাওয়ার্দী শুভর সঙ্গে নাঈমের ৫১ রানের জুটিতেই অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায় ড্র।
১৭৯ বলে নাঈম স্পর্শ করেন সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ২৪৩ বলে ১২৯ রানে।
শুভ ও সানজামুলকে পরপর দুই বলে তুলে নিয়ে ম্যাচে ১০ উইকেট পূর্ণ করেন অফ স্পিনার নাহিদুল। তবে ম্যাচ শেষে নাঈমদের হাসিই বেশি চওড়া!
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণাঞ্চল ১ম ইনিংস: ৫০১
উত্তরাঞ্চল ১ম ইনিংস: ২৪২
উত্তরাঞ্চল ২য় ইনিংস: (ফলো অনের পর) ১৩৭ ওভারে ৪০৩/৮ (আগের দিন ১৫৪/২) ( ফরহাদ ১১৯, নাসির ১, নাঈম ১২৯*, ধিমান ৪১, আরিফুল ৯, শুভ ২৬, সানজামুল ০, শফিউল ০*; নাহিদুল ৫/১৩০, আল আমিন ০/৫১, মোসাদ্দেক ১/৪২, রাজ্জাক ১/১৩৭, রুবেল ১/২৪, তুষার ০/৮)।
ফল: ম্যাচ ড্র
ম্যান অব দা ম্যাচ: তুষার ইমরান