বিসিএলের চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ২৪২ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল উত্তরাঞ্চল। দক্ষিণাঞ্চলের চেয়ে ২৫৯ রানে পিছিয়ে থেকে আবার নামতে হয় ব্যাটিংয়ে। তৃতীয় দিন শেষে ব্যবধান কমিয়ে আনতে পেরেছে তারা ১০৫ রানে, হাতে ৮ উইকেট।
৬২ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন ফরহাদ হোসেন। নাজমুল হোসেন শান্ত ফিরে গিয়েছিলেন দ্রুতই। দ্বিতীয় উইকেটে জুনায়েদ সিদ্দিকের সঙ্গে ফরহাদ গড়েন ৮২ রানে জুটি।
জুনায়েদকে ফিরিয়ে ৩১ ওভার টিকে থাকা জুটি ভাঙেন নাহিদুল। দিনের বাকি ১৮ ওভারে আর উইকেট হারায়নি উত্তরাঞ্চল। ফরহাদের সঙ্গে ৪৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে নাঈম ইসলামের রান ২৪।
উত্তরাঞ্চলের ব্যাটিংয়ে এই লড়াইটা ছিল না প্রথম ইনিংসে। প্রতিপক্ষের ৫০১ রানের জবাবে আগের দিনই হারায় তারা ৪ উইকেট। তৃতীয় দিন সকালে ফিরে যান নাসির হোসেনও।
দ্বাদশ ম্যাচে প্রথমবার ৫ উইকেট পেয়েছেন অফ স্পিনার নাহিদুল। অভিজ্ঞ স্পিনার আব্দুর রাজ্জাকও যথারীতি অবদান রেখেছেন ৩ উইকেট নিয়ে।
দ্বিতীয় ইনিংসে যদিও চলছে লড়াই। তবে পথ এখনও ঢের বাকি। প্রথম ইনিংস হার এড়ানো, এরপর ম্যাচ বাঁচানোর চ্যালেঞ্জ। বিকেএসপিতে শেষ দিনেও তাই ফেভারিট দক্ষিণাঞ্চল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণাঞ্চল ১ম ইনিংস: ৫০১
উত্তরাঞ্চল ১ম ইনিংস: ৬২.২ ওভারে ২৪২ (আগের দিন ১০৭/৪) (নাসির ২২, ধীমান ৬৭, আরিফুল ১১, শুভ ৭, সানজামুল ১০, শফিউল ২২, শুভাশীষ ৪; নাহিদুল ৫/১০৪, আল আমিন ২/২৩, রুবেল ০/৩৪, রাজ্জাক ৩/৭৪)।
উত্তরাঞ্চল ২য় ইনিংস: (ফলো অনের পর) ৬১ ওভারে ১৫৪/২ (শান্ত ১৫, জুনায়েদ ৪৬, ফরহাদ ৬২*, নাঈম ২৪*; নাহিদুল ১/৪২, আল আমিন ০/২৫, মোসাদ্দেক ১/৩২, রাজ্জাক ০/৪৯, রুবেল ০/২)।