'তুষার-অলকরা অবশ্যই নজরে আছে'

সেঞ্চুরির পর সেঞ্চুরি, কখনও ডাবল সেঞ্চুরি। দীর্ঘদিন ধরে নেই জাতীয় দলে, তবে তুষার ইমরান, অলক কাপালীরা ঘরোয়া ক্রিকেটে বইয়ে দিচ্ছেন রানের স্রোত। সেই স্রোত আছড়ে পড়ছে নির্বাচকদের দুয়ারেও। তবে নির্বাচকরা খুলে দিতে পারছেন না দুয়ার। কারণ ঘরোয়া ক্রিকেটের পরের পর্যায়টায় যে পরখ করা যাচ্ছে না স্রোতের তীব্রতা!

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Feb 2017, 09:51 AM
Updated : 21 Feb 2017, 10:47 AM

অনেক দিন ধরেই নেই 'এ’ দলের খেলা। হাই পারফরম্যান্সের কার্যক্রমও চলমান নয়। প্রধান নির্বাচকের কণ্ঠে তাই অসহায়ত্ব, ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফরমারদের দিতে পারছেন না তেমন কোনো ‘প্ল্যাটফর্ম।”

বাংলাদেশ ‘এ’ দল সবশেষ খেলেছে ২০১৫ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে সফরে। সেই সফরের ঠিক আগে ছিল ভারত সফর। ওই দুটি সিরিজ ছাড়া গত ৫ বছরে ‘এ’ দলের সিরিজ ছিল আর মাত্র দুটি। ২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর ও দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ে ‘এ’ দলের বিপক্ষে সিরিজ।

অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারত বা দক্ষিণ আফ্রিকার মত দলগুলিতে টেস্ট দলের বড় জোগান আসে ‘এ’ দল থেকেই। ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফরমারদের সুযোগ দেওয়া হয় ‘এ’ দলে। অনেকটা আন্তর্জাতিক মানের কাছাকাছি ক্রিকেটে তাদের পারফরম্যান্স দেখে সুযোগ দেওয়া হয় জাতীয় দলে।

প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীনের মতে, বাংলাদেশে ‘এ’ দলের খেলা কম হওয়ায় এই জায়গাটাতেই থেকে যাচ্ছে ঘাটতি।

“আমাদের ‘এ’ দলের সফর হচ্ছে না অনেকদিন ধরে। সেই সঙ্গে গত এক বছরে এইচপির কোন প্রোগ্রাম আমরা করতে পারিনি। আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ কিছু খেলোয়াড় কিছুদিন ধরেই অসাধারণ পারফরম্যান্স করছে। নাম ধরেই যদি বলি, তুষার ইমরান ও অলক কাপালিরা ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো পারফরম্যান্স করে চলছে।”

“অবশ্যই ওরা আমাদের নজরে আছে। বয়সের জন্য নজরের বাইরে চলে যায়নি। ওদেরকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে আসতে হলে অবশ্যই ‘এ’ টিম কিংবা এইচপি টিমের হয়ে সিরিজ খেলতে হবে। দেখতে হবে তাদের পজিশন কোথায়। কিন্তু 'এ' দলের খেলাই হচ্ছে না। ওদেরকে একটা প্লাটফর্ম কিন্তু আমাদের দিতে হবে।”

এবার জাতীয় লিগে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন অলক কাপালি। ৬৬.৪৪ গড়ে রান ৫৯৮। চলতি বিসিএলে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি রান তুষার ইমরানের। ৯০.৮০ গড়ে ৫ ইনিংসে রান ৪৫৪। এর আগে জাতীয় লিগেও সর্বোচ্চ ৩ সেঞ্চুরিতে ৫১৮ রান করেছিলেন তুষার, ৮৬.৩৩ গড়ে।

তবে ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফরম্যান্সকেই চূড়ান্ত ধরে নিতে চান না প্রধান নির্বাচক। এজন্যই বারবার তুলে ধরলেন 'এ’ দলের সিরিজের প্রয়োজনীয়তা।

“আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটের মান নিয়ে সব সময় আলোচনা হয়। বিকেএসপিতে যে উইকেটে খেলা হয়, পৃথিবীর আর কোন দেশে এমন নিষ্প্রাণ উইকেটে খেলা হয় না। এখানে যেসব খেলোয়াড়রা রান করছে, তাদেরকে সুযোগ দিতে গেলে অন্য একটা প্ল্যাটফর্ম আগে তৈরি করে দিতে হবে। সেক্ষেত্রে আমরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাদের খেলার সক্ষমতা দেখতে পারব। সেখানেও ভালো করলে জাতীয় দলের জন্য বিবেচনা করা হবে।”

“এখন ২৪ জন খেলোয়াড়দের একটা পুল আছে। সেখান থেকেই আমরা খেলোয়াড়দের বিবেচনা করছি। আমার মনে হয় ‘এ’ দলের সফর যদি আমরা তৈরি করতে পারি, এই সব খেলোয়াড়কে সুযোগ করে দিতে পারব।”

‘এ’ দলের সিরিজের গুরুত্ব বিসিবির সংশ্লিষ্ট কর্তারাও বলেন প্রায়ই। তবে ‘এ’ দলের পরের সিরিজটি কবে, সেটি জানেনা কেউ!