গত বছর দুয়েক এই প্রশ্ন অনেকবারই শুনেছেন মুশফিক। তাই হয়ত প্রস্তুতই ছিলেন। উত্তর শুরু করলেন হাসি মুখেই। নিজেকে দলের সেরা ব্যাটসম্যান মানতেই আপত্তি তার।
“আমার টেস্ট ব্যাটিং গড় তো ৩৩ বা ৩৪-এর বেশি না। আমি কিভাবে দলের সেরা ব্যাটসম্যান হতে পারি!”
এই পরিসংখ্যান তো পুরো ক্যারিয়ারের কথা বলছে। গত কিছুদিনের পারফরম্যান্সে মুশফিককেই সেরা বলা যায় অনায়াসে। তবে সেই তর্ক এখানে মূখ্য নয়। মূল ব্যাপার হলো তার ত্রিমুখী দায়িত্ব। তিনটি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।
মুশফিকের কাছ থেকে অবশ্য নতুন কিছু শোনা গেল না। বরাবরই বলে আসছেন কিপিং তার বড় দুর্বলতার জায়গা। তিন দায়িত্বেই থাকতে চান। এদিনও বললেন আবার। নতুন করে যোগ করলেন আরেকটু। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিলেন বিসিবির ওপর।
“আমি যদি দু্টি বা তিনটি দায়িত্বে থাকি, তার মানে বোর্ড বা টিম ম্যানেজমেন্ট আমার ওপর আস্থা রাখছে। আমার দায়িত্ব তিনটি দায়িত্বই ভালো ভাবে পালন করা। যদি ভালো করতে না পারি, তাহলে তারা যা মনে করেন, সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। আমি তিনটি দায়িত্বই উপভোগ করছি। কারণ আমি মাঠে থাকতে ভালোবাসি। আর মাঠে সময় কাটানোর উপায় হলো সেখানে দায়িত্ব পালন করা, ড্রেসিং রুমে বসে নয়।”
“আমি আমার সব দায়িত্ব ভালোবাসি। তার পরও কিছু হলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার লোক আছে বাইরে। তবে আমাকে ব্যক্তিগতভাবে জিজ্ঞেস করলে, আমি তিনটিই দারুণ পছন্দ করি। আর নেতৃত্ব আমার হাতে নেই। বোর্ড চাইলে বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।”
সেই ‘বিশ্লেষণ’ এবার হচ্ছেই। হায়দরাবাদে টেস্টের সময় ছিলেন বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খানসহ অনেকেই। তাদের যা মনোভাব, দেশে ফিরে আতসী কাঁচেরই নীচে পড়বে মুশফিকের নেতৃত্ব। আগামী মাসের শ্রীলঙ্কা সফরের আগে বেশ কদিন সময় আছে। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়ারও সুযোগ আছে। পরবর্তী বোর্ড সভার অন্যতম এজেন্ডা হতে পারে মুশফিকের নেতৃত্ব।