জিতলে হবে বিশ্বরেকর্ড। তবে রেকর্ড বা রান, কোনোটাই নিশ্চয়ই বাংলাদেশের ভাবনায় নেই; দৃষ্টি ওভারে। চতুর্থ দিন শেষ সেশনের ৩৫ ওভার, আর শেষ দিনে সম্ভাব্য ৯০, এই ১২৫ ওভার টিকে থাকতে পারলেই অর্জন ড্র।
লাঞ্চের আগে ১ ওভার আর দ্বিতীয় সেশনে ২৮, দ্বিতীয় ইনিংসে ২৯ ওভার খেলেছে ভারত। ওয়ানডের গতিতে তুলেছে রান। তাসকিন আহমেদের বাইরের বল মারতে গিয়ে দ্রুতই ফিরেছিলেন দুই ওপেনার মুরালি বিজয় ও লোকেশ রাহুল। কিন্তু কমেনি রানের গতি।
বিরাট কোহলি তো বরাবরই আক্রমণাত্মক। চেতেশ্বর পুজারাও রান তুললেন বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। কম গেলেন না অজিঙ্কা রাহানেও। ভারতীয়দের রান তৃষ্ণায় দুটি উইকেট উপহার পেয়েছেন সাকিব আল হাসান।
৪ উইকেটে ১৫৯ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। এইটুকু সময়েও দুটি ক্যাচ ছেড়েছে বাংলাদেশ।
সকালে ৬ উইকেটে ৩২২ রান দিয়ে দিন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান মিরাজ ফিরে যান প্রথম ওভারেই। মুশফিক লড়ে যান। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দলের রান নিয়ে যান চারশর কাছে। বাংলাদেশও টিকে প্রায় লাঞ্চ পর্যন্ত। এজন্যই হয়ত ফলোঅন না করিয়ে দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে নামে ভারত।
চ্যালেঞ্জটা এখন আবার সেই ব্যাটসম্যানদের ওপর। চতুর্থ দিনের দুই সেশন পর্যন্ত উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য কঠিন নয়। চতুর্থ ইনিংসে ১২৫ ওভার টিকে থাকা অবশ্য কঠিন। তবে অসম্ভব তো নয়!
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত ১ম ইনিংস: ৬৮৭/৬ (ইনিংস ঘোষণা)
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৩৮৮
ভারত ২য় ইনিংস: ২৯ ওভারে ১৫৯/৪ (ইনিংস ঘোষণা) (বিজয় ৭, রাহুল ১০, পুজারা ৫৪*, কোহলি ৩৮, রাহানে ২৮, জাদেজা ১৬*; তাইজুল ০/২৯, তাসকিন ২/৪৩, সাকিব ২/৫০, মিরাজ ০/৩২)।