পাকিস্তান সুপার লিগের চলতি আসরে একটি সংগঠনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। তারই তদন্তের অংশ এই দুই ক্রিকেটারের নিষেধাজ্ঞা। দুবাই থেকে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো হয়েছে তাদের।
এই পর্যায়ে সুনির্দিষ্ট কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন পিএসএল প্রধান নাজাম শেঠি। তার মতে, এই তদন্ত পাকিস্তানের ক্রীড়াকে দুর্নীতি মুক্ত করার তাদের দৃঢ় সংকল্পের পরিষ্কার প্রমাণ।
“আমরা কোনো ধরনের অসৎ কর্মকাণ্ড সহ্য করবো না। এই তদন্তকে এগিয়ে নিতে চূড়ান্ত কোনো পদক্ষেপ নিতেও আমরা দ্বিধা করবো না।”
এই তদন্তের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী কমিশন বা আকসু।
নাজাম শেঠি জানান, এই ধরনের কিছুর শঙ্কায় ছিলেন তারা, তাই বাড়তি সতর্কতাও ছিল তাদের।
“আমরা আমাদের নিরাপত্তা এবং দূর্নীতি বিরোধী ইউনিটকে শক্তিশালী করেছি। সব কিছুর ওপর নজর রাখতে আমরা অন্য রিসোর্সও ব্যবহার করছি। এরপর আমরা প্রমাণ পেয়েছি কোনো অন্যায় ঘটতে চলেছে তখন পদক্ষেপ নিয়েছি।”
ইসলামাবাদের প্রথম ম্যাচে একাদশে ছিলেন না লতিফ। পেশাওয়ার জালমির বিপক্ষে সেই ম্যাচে ১ রান করেন শারজিল। গত আসরে দলের শিরোপা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল দুই ব্যাটসম্যানের। টুর্নামেন্টের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক শারজিল করেন ২৯৯ রান, লতিফ ২০৬।
পাকিস্তানের হয়ে ২৫টি ওয়ানডে ও ১৫টি টি-টোয়েন্টি খেলা উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান শারজিল সীমিত ওভারের ক্রিকেটে এখন নিয়মিত। সিডনি টেস্ট দিয়ে বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটেও অভিষেক হয় কিছু দিন আগে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে চার বছর পর পাকিস্তান দলে ফিরেন লতিফ। গত বছর সেপ্টেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন তিনি।