সবে তখন উইকেটে গিয়েছেন। তাইজুল ইসলামকে বেরিয়ে এসে মারতে চাইলেন। ক্রিজ থেকে অনেকটা দূরে। স্টাম্পিংয়ের সহজতম সুযোগ। মুশফিক গ্লাভসে জমালেনও ঠিকঠাক, চালিয়ে দিলেন হাত। কিন্তু উড়ল না বেলস। স্টাম্পেই যে হাত ছোঁয়াতে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক!
পরে অবশ্য ভেঙেছেন স্টাম্প। তবে ততক্ষণে নিরাপদে চলে এসেছেন ঋদ্ধিমান। সেই তিনিই ঘন্টা তিনেক পর বেরিয়ে এসে উড়িয়ে মারলেন তাইজুলকে। এবার ছক্কা ও সেঞ্চুরি! ৪ রানে জীবন পেয়ে অপরাজিত ১০৬ রানে।
নিজেও উইকেটকিপার। কিপিংটা ভারতের সেরা বলেও তুলনায় বেশি ভালো ব্যাটসম্যানদের পেছনে ফেলে জায়গা থিতু করেছেন ধোনি-উত্তর ভারতের টেস্ট দলে। এমন মিস দেখে তার মজা পাওয়াই স্বাভাবিক। ঋদ্ধিমান উত্তরও দিলেন অনেকটা মজার স্বরে।
“বলতে পারি আমি ভাগ্যবান। মুশফিক চেষ্টা করেছিল কিন্তু স্টাম্পে লাগাতে পারেননি। দ্বিতীয়বারে পেরেছে, আমি তখন ক্রিজে পৌঁছে গেছি। সেঞ্চুরিটা আমার কপালে ছিল বলেই হয়ত সে লাগাতে পারেনি!”
সেঞ্চুরির পর মুশফিক তাকে প্রশংসাও করেছেন “ওয়েল প্লেইড’ বলে। ঋদ্ধিমান ‘থ্যাংক ইউ’ নিশ্চয়ই বলেছিলেন। প্রশংসার জন্য যেমন, ‘জীবন’ দানের জন্যও। ঈদে-পার্বণে শুভেচ্ছা কার্ডও পাঠাতে পারেন!