নিউ জিল্যান্ডের কন্ডিশনে বোলিং করে আসা তাসকিন এই প্রথম টেস্ট খেলছেন উপমহাদেশের কন্ডিশনে। প্রথম নতুন বলে চমৎকার বোলিং করে কুড়িয়েছেন প্রশংসা। হায়দরাবাদ টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা ডানহাতি এই পেসার জানালেন, প্রতিনিয়ত শিখছেন তিনি।
“সত্যি কথা বলতে আমার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা। এটা বেশ ধৈর্যেরও ব্যাপার বলা চলে। ধৈর্য নিয়ে বল করতে হবে। এর সাথে যখন বলে সুইং থাকবে না তখন রিভার্স সুইং করানোর চেষ্টা করতে হবে। আমি চেষ্টাও করছি এবং হয়েছেও রিভার্স সুইং।”
“তারা বিশ্বের সেরা দল তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তারা খুব ভালো সামলে নিয়েছে।”
প্রথম দিন শেষে ভারতের স্কোর ৩৫৬/৩। বাংলাদেশের রানের পাহাড়ে চাপা পড়ার শঙ্কা। প্রচুর বাউন্ডারি বল দিয়ে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের কাজটা সহজ করে দিয়েছেন অতিথি বোলাররা। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে নির্বিষ হয়েছে তাসকিন-কামরুলের বাউন্সার। তাসকিনের কথায় মিলল তার ব্যাখ্যা।
“পেস বোলার তো আমরা দুজনই আছি, (বাউন্সার) আমিও করেছি, কামরুলও করেছে। যেগুলো ততটা উঠেনি সেগুলো ওরা ভালো খেলেছে। লাঞ্চের পর শর্ট বল অনেক স্লো হয়ে গেছে। যার কারণে আরও সহজভাবে খেলতে পেরেছে।”
“প্রথম দিকে আমি এবং কামরুল যে বাউন্সারগুলো করেছি সেগুলো ভালো ছিল। পরের দিকে স্লো হওয়ার কারণে হাফে পড়াগুলো বাউন্ডারি হয়েছে। শর্ট বলও আমাদের পরিকল্পনার মধ্যে ছিল। কিন্তু প্রয়োগটা আরও একটু ভাল হলে হয়তো আরও ভাল হতো।”
অকার্যকর বাউন্সার দিয়ে কাজ হবে না। ফুল লেংথ বলেও খুব একটা লাভ হবে না। ঠিক কোন লেংথে বল করতে হবে বুঝতে পেরেছেন তাসকিন।
“একদম ফুল লেংথে বল করলেও সহজভাবে ড্রাইভ করছে। একদম প্রপার গুড লেংথেই বল করতে হবে সব সময়।”