‘উইকেট বেশ ভালো মনে হচ্ছে’

সবুজ প্রান্তের মাঝে লম্বা লাল গালিচা। বুধবার দুপুরে যখন অনুশীলনে এল বাংলাদেশ দল, রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামের মাঠের চেহারা তখন এরকমই! ম্যাচের উইকেট ঢেকে রাখা লাল মাদুরে। মুশফিকুর রহিম গিয়ে সরালেন সেই ঘোমটা। ভালো করে দেখে নিলেন উইকেট।

ক্রীড়া প্রতিবেদক হায়দরাবাদ থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Feb 2017, 12:39 PM
Updated : 8 Feb 2017, 12:39 PM

পরে কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহেও সময় নিয়ে দেখেছেন উইকেট। দূর থেকে উইকেটের চেহারাটাও ভালো করে দেখা মুশকিল, ধরন তো বোঝার উপায়ই নেই। খানিকটা ঘাসের ছোঁয়া অবশ্য আছে। তবে ম্যাচের সকালে সেসব উধাও না হওয়ার কারণ নেই।

কদিন আগেও এই মাঠে ঘরোয়া ক্রিকেটের একটি ম্যাচে বেশ সমালোচনা হয়েছিল উইকেট নিয়ে। আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ না তোলা হলেও অপ্রস্তুত উইকেটের কারণে জানানো হয়েছিল অসন্তোষ। এই টেস্টের জন্য তাই বেশ সময় নিয়েই যত্ন-আত্তি করে প্রস্তুত করা হয়েছে উইকেট। ঘাসের ছোঁয়া হতে পারে উইকেট জমাট রাখতেই।

পরে সংবাদ সম্মেলনে জানা গেল, উইকেট বেশ মনে ধরেছে বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের।

“টিপিক্যাল ভারতীয় উইকেট যেরকম হয়, সেরকম টার্নিং মনে হয় না। উইকেট বেশ শক্ত। ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ ভালো মনে হয়েছে। পেসাররাও শুরুর দিকে সাহায্য পাবে। স্পিনাররাও বেশ বাউন্স পাবে। দুই বা তিন দিন পর থেকে হয়ত টার্ন মিলবে ভালো। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ভালোই মনে হচ্ছে উইকেট। এখন আমরা কিভাবে খেলি, কতটা কী করতে পারি, সেটাই দেখার ব্যাপার।”

এই মাঠের সবশেষ টেস্টে প্রথম ইনিংসে ২৩৭ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ভারত ছাড়িয়েছিল পাঁচশ। চেতেশ্বর পুজারা করেছিলেন ডাবল সেঞ্চুরি, মুরালি বিজয় দেড়শ। দুজন আছেন এবারও। রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজা ৮ উইকেট ভাগাভাগি করে দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়াকে গুটিয়ে দিয়েছিলেন ১৩১ রানেই। টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ এই দুই বোলার আছেন এবারও।

তবে সেই টেস্ট প্রায় চার বছর আগে। ওই ম্যাচের স্কোর দেখে উইকেট আন্দাজ করা তাই কঠিন। মুশফিকের ধারণাই আপাতত ভরসা। আর মুশফিকের শেষ কথাটিই দিনশেষে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। উইকেট যেমনই হোক, পারফর্ম তো করতে হবে!