এই মুহূর্তে টেস্টের শীর্ষ বোলার অফ স্পিনার অশ্বিন। এই সংস্করণে অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষেও আছেন তিনি। তার কাছ থেকে শেখার জন্য উন্মুখ মিরাজ।
বৃহস্পতিবার হায়দরাবাদের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ার আগে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মিরাজ।
“অশ্বিন বিশ্বমানের ক্রিকেটার। খেলা শেষে ওর সঙ্গে কথা বলে কিছু টিপস নেওয়ার লক্ষ্য থাকবে আমার। আর ও ম্যাচে খেললে কিভাবে বোলিং করে তা কাছে থেকেই দেখতে পারবো। ওই অভিজ্ঞতা আমার জন্য অনেক কাজে লাগবে।”
আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি হায়দরাবাদের রাজিব গান্ধি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে একমাত্র টেস্ট। সেই ম্যাচের উইকেটে স্পিনারদের জন্য যথেষ্ট সহায়তা আশা করছেন মিরাজ।
“আমাদের দলে অনেক ভালো আর অভিজ্ঞ স্পিনার আছে। সাকিব ভাই, তাইজুল ভাইয়ের সঙ্গে আমিও আছি। ভারতে আমাদের আরও ধারাবাহিক হতে হবে। ওদের অনেক ভালো ব্যাটসম্যান আছে। তবে আমরা যদি ঠিক জায়গায় বল করতে পারি তাহলে ভালো কিছু করা সম্ভব।”
নিউ জিল্যান্ড সফরে কোনো ম্যাচ খেলার সুযোগ মেলেনি তাইজুলের। ভারতে হয়তো একাদশে ফিরতে পারেন বাঁহাতি স্পিনার। ভারতের বিপক্ষে এর আগে খেলা একমাত্র টেস্টে ২০ ওভারে ৮৫ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। এবার সুযোগ মিললে পরীক্ষা নিতে চান স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের।
“ফতুল্লায় ফ্ল্যাট উইকেটে খেলা হয়েছিল। ভারতের ব্যাটিং লাইন আপ অনেক বড় আর ওরা স্পিনে ভালো খেলে থাকে। আশা করি, এবার আমরা যদি ভালো জায়গায় বল করি হয়তো ভালো কিছু সম্ভব হবে। উইকেট থেকে যদি সহায়তা পাই তাহলে বাড়তি পাওয়া হবে।”
“আমাদের দলে এখন ভালো মানে স্পিনার আছে। মিরাজ, সাকিব ভাই আর অন্য যারা আছে সবাই ভালো। ভারতে স্পিন ট্র্যাক হলে আমাদের স্পিনাররা ভালো কিছুই করবে।”
তাইজুল জানান, চোট কাটিয়ে মুশফিকুর রহিম, ইমরুল কায়েস ও মুমিনুল হক ফেরায় বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে।
একাদশে থাকবেন কী না এখনই ভাবছেন না শুভাশীষ রায় চৌধুরী। তবে সুযোগ মিললে, বিরাট কোহলির উইকেটটি চাই তার।
“এমন একটি ঐতিহাসিক সফরে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেক খুশি। কোহলি বিশ্বের সেরা কয়েকজনের মধ্যে একজন। যদি তার উইকেট পেয়ে যাই তাহলে তো খুব ভালো হবে।”
ভারতের মাটিতে এবারই প্রথম টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে সুযোগ পেলে স্মরণীয় কিছু করতে চান সৌম্য সরকার।
“ব্যক্তিগত লক্ষ্য তো একটাই, ভালো খেলতে হবে। ভারতে এবারই আমাদের প্রথম টেস্ট, তাই সবাই খুব রোমাঞ্চিত। সুযোগ পেলে এই ম্যাচে মনে রাখার মত কিছু করতে চাইবো।”
এই প্রথম উপমহাদেশের কন্ডিশনে কোনো টেস্ট খেলার হাতছানি তাসকিন আহমেদের সামনে। তরুণ পেসার দিলেন নিজেকে উজাড় করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি।
“এটা অনেক বড় টেস্ট, আমি আমার সেরাটাই দিব। চেষ্টা করবো এমন কিছু স্পেল করার যেগুলো ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারে। আমি ভাগ্যবান যে টেস্ট দলে সুযোগ পেয়েছি। খেলার সুযোগ মিললে স্মরণীয় কিছু করার চেষ্টা করবো।”
নিউ জিল্যান্ডে ক্যাচ ছেড়ে অনেকবার তাসকিনকে হতাশ করেছেন ফিল্ডাররা। তবে নিয়মিত উইকেট পাওয়ার সুযোগ তৈরি করতে পারছেন বলে তাসকিন খুশি, ভারতেও ধরে রাখতে চান ধারাবাহিকতা।
“উইকেট পাওয়া তো কপালের ব্যাপার তবে আমি আমার শতভাগ দিব। সুযোগ পেলে আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্ব পাবে কন্ডিশন অনুযায়ী ভালো বল করার চেষ্টা করা। আর ভালো জায়গায় বল করলে উইকেট পাওয়াও সম্ভব। আশা করি, ভালো কিছুই হবে।