রাজিব গান্ধি স্টেডিয়ামে সবশেষ টেস্ট হয়েছে প্রায় চার বছর আগে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেই টেস্টের শেষ ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন অশ্বিন। তার আগের টেস্টেই নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৮৫ রানে নিয়েছিলেন ১২ উইকেট। সময়ের পরিক্রমায় এখন আরও ধারালো ও পরিণত সেই অশ্বিন। টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে এখন শীর্ষ বোলার।
টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের দুই নম্বর বোলারও একজন ভারতীয় স্পিনার, রবিন্দ্র জাদেজা। ভারতের সবশেষ টেস্টেই করেছেন নিজের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার জয়ন্ত যাদব খেলেছেন মাত্র ৩ টেস্ট, কিন্তু এর মাঝেই নজর কেড়েছেন ব্যাটে-বলে। ভারতীয় স্কোয়াডের আরেক স্পিনার অমিত মিশ্র। টেস্ট ক্যারিয়ার তার ততটা উজ্জ্বল নয়। তবে লেগ স্পিনে বাংলাদেশের দুর্বলতা চিরন্তন। মিশ্রই যেমন বাংলাদেশের বিপক্ষে একটি টেস্ট খেলে নিয়েছেন ৭ উইকেট।
বাংলাদেশ থেকে এগিয়ে তো বটেই, কাগজে-কলমে ও পারফরম্যান্সে এই স্পিন আক্রমণকে বলা যায় বিশ্বের সেরা। এই কন্ডিশনে তো বটেই। সেটি মানছেনও হাথুরুসিংহে। তবে নিজেদের স্পিন আক্রমণকেও খুব পিছিয়ে রাখছেন না বাংলাদেশ কোচ।
আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের সেরা বোলার সাকিব। আপাতত অবস্থান ১৪ নম্বরে। স্পিন আক্রমণে সাকিবের বাকি দুই সঙ্গীই অনভিজ্ঞ। তবে উইকেট কন্ডিশন পক্ষে পেলে স্পিন বিষে প্রতিপক্ষকে নীল করতে পারেন দুজনই। ১১ টেস্ট ৪৩ উইকেট তাইজুলের। র্যাঙ্কিংয়ে তিনি ৩৯ নম্বরে। আর মাত্র ৪ টেস্ট খেলেই অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ উঠে এসেছেন ৩৬ নম্বরে!
দুই দলের স্পিন আক্রমণের সাফল্য-ব্যর্থতাই হয়ত ভাগ্য গড়ে দেবে হায়দরাবাদ টেস্টের।