টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর এবারই প্রথম ভারতে টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। ৯ ফেব্রুয়ারি হায়দরাবাদের রাজিব গান্ধি স্টেডিয়ামে শুরু হবে ম্যাচটি।
ক্রিকেট সংগঠক, খেলোয়াড় থেকে শুরু করে গণমাধ্যমের কাছে ঐতিহাসিক ম্যাচের মর্যাদা ভারত-বাংলাদেশের এই টেস্টের। বুধবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক জানান, তাদের কাছে আলাদা কোনো গুরুত্ব পাচ্ছে না এই টেস্ট।
“(ঐতিহাসিক টেস্ট কি না?) এটা শুনে আমি একটু অবাকই হই। আমার কাছে এটা ঐতিহাসিক ধরনের কিছু মনে হয় না। … তবে ওখানে আমাদের অনেক কিছু করার আছে। ভারতের মাটিতে আমরা কেমন খেলি, সেটা প্রমাণ করার আছে। এটা সাধারণ একটা টেস্ট ম্যাচই। তবে এমন পারফর্ম করতে চাই, যেন ভারত আমাদের বারবার আমন্ত্রণ জানায়।”
আর তা করতে গেলে ভারতে দল হিসেবে এক সঙ্গে জ্বলে উঠা জরুরি বলে মনে করেন অধিনায়ক।
“ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নয়, দরকার হল দলগত পারফরম্যান্স। যারা এতোদিন ভালো খেলেছে, আশা করি তারা সেটা ধরে রাখবে। আর যারা ভালো খেলতে পারেনি, তারা এখন নিজেদের মেলে ধরবে। দলীয় প্রচেষ্টাটা দরকার। তাহলে ভালো ফল হবে।”
“নিজেদের মাটিতে ভারত খুব ভালো শক্তিশালী দল। আমরা ওদের স্কোয়াড দেখেছি, খুব শক্তিশালী। তাদের বিপক্ষে আমরা দুই-তিন দিন নয়, বরং পুরো পাঁচ দিন ভালো খেলতে চাই।”
একমাত্র ভারতেই কোনো টেস্ট খেলা হয়নি বাংলাদেশের। এই সফরে কেমন উইকেট মিলবে কোনো ধারণাই নেই অতিথিদের। প্রতিপক্ষের দল দেখেও কোনো ধারণা পাচ্ছেন না তারা। মুশফিক জানান, যে কোনো পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে যাচ্ছেন তারা।
“যে কন্ডিশন হোক না কেনো, আমরা সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছি। আমাদের দলে নানা রকম বৈচিত্র আছে। পেস বোলিং অলরাউন্ডার আছে, স্পিনিং অলরাউন্ডার আছে, ব্যাটিং গভীরতাও অনেক। সুতরাং যে কন্ডিশনই হোক, আমরা সেভাবেই খেলবো।”
ভারতের ব্যাটিং-বোলিংকে শ্রদ্ধা করেন মুশফিক। কিন্তু নিজেদেরকেও পিছিয়ে রাখছেন না অধিনায়ক।
“আমাদের ব্যাটসম্যানদের জন্য কাজটা কঠিন হবে। বোলিংয়েও আমাদের ভালো করার সামর্থ্য আছে। আমরা যদি ক্যাচগুলো ঠিকঠাক নিতে পারি, তবে এই বোলিং নিয়ে যে কোনো টেস্ট দলের বিপক্ষেই আমরা ভালো করব।”