কোহলির উইকেট চাই কামরুলের

ক্রিকেট খেলা শুরুর সময় কামরুল ইসলাম রাব্বি স্বপ্ন দেখতেন শচিন টেন্ডুলকারের উইকেট নেওয়ার। কিন্তু এই ব্যাটিং কিংবদন্তি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়েছেন এই আঙিনায় কামরুল পা রাখার আগেই। ডানহাতি পেসারের এখন লক্ষ্য ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলির উইকেট।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Jan 2017, 12:03 PM
Updated : 30 Jan 2017, 12:04 PM

মিরপুরে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে সোমবার সাংবাদিকদের নিউ জিল্যান্ড সফরের অভিজ্ঞতার কথা শোনাচ্ছিলেন কামরুল। সে সময়ই এল তার স্বপ্নের উইকেটের প্রসঙ্গ।

“অবশ্যই বড় খেলোয়াড়দের উইকেট নেওয়ার একটা স্বপ্ন থাকে। আমি যখন খেলা শুরু করি, তখন স্বপ্ন দেখতাম যদি একবার শচিন টেন্ডুলকারের উইকেট পাই! এটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন হয়ে থাকতো। আমি তো এই পর্যায়ে খেলা শুরুর আগেই উনি অবসর নিয়েছেন, তার উইকেট পাওয়ার চেষ্টাই করা গেল না!”

“তবে এবার ভারতে গিয়ে যদি বিরাট কোহলির উইকেট পাই সেটা আমার জীবনের বড় অর্জনের একটি হয়ে থাকবে। ভারতের অধিনায়ক এখন বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান।”

নিউ জিল্যান্ড সফরে কামরুলের লক্ষ্য ছিল স্বাগতিক অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসের উইকেট। ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের প্রথম ইনিংসে সেই লক্ষ্য পূরণ হয়।

“মাঠে ট্রেন্ট বোল্টের সঙ্গে কথা হয়েছে। মাঠের বাইরে কেন উইলিয়ামসনের সঙ্গে কথা হয়েছে। ও আমাকে বলেছে, তোমার বোলিং অ্যাকশন একটু আলাদা। এই জন্য অনেক সময় বল সামনে না পিছনে আসছে বুঝতে আমার সমস্যা হয়েছে।”

“উইলিয়ামসন জানতে চেয়েছিল, আমি তার কী দুর্বলতা পেয়েছি। আমি বলেছিলাম, তুমি অফ স্টাম্পের ওপরে আউটসুইং বলে একটু দুর্বল। ও স্বীকার করেছিল, এটাই ওর দুর্বলতা। পরে বলেছিল, এই যে আমি ওর দুর্বলতা বের করতে পেরেছি, এটা ভবিষ্যতে অন্য ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রেও কাজে লাগবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমাকে প্রতিপক্ষকে ভালো করে পড়তে হবে।”

দুই টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে নিউ জিল্যান্ডে গিয়েছিলেন কামরুল। সেখান গিয়ে খেলেছেন আরও দুই টেস্ট। ২৫ বছর বয়সী এই পেসার বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে ভালো খেলার জন্য এখন আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী।

“প্রত্যেকটা ম্যাচের অভিজ্ঞতা কাজে দেয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একেকজন খেলোয়াড় একেক রকমের। এখানে বাজে বল তারা খুব ভালোভাবে কাজে লাগায়। ভালো বলেও ওরা চিন্তা করে কিভাবে রান নেওয়া যায়। তাই তাদের বিপক্ষে মাথা খাটিয়ে বল করতে হয়, উইকেট নেওয়ার জন্য অনেক পরিকল্পনা করতে হয়। নতুনদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটটা বোঝা।”

“অভিজ্ঞতার যেমন দরকার, আমার মনে হয় আত্মবিশ্বাসটাও দরকার। ভারতের কন্ডিশন হয়তো ততটা পেস বোলিং সহায়ক নয়। তবে যদি পেসাররা পরিকল্পনা অনুযায়ী বল করি তাহলে আশা করি, সেখানে আমরা ভালো করবো।”

বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে ভারত সফর করেছিলেন কামরুল। টেস্টের ভেন্যু হায়দরাবাদে খেলার অভিজ্ঞতা নেই। তবে বেঙ্গালুরু, কলকাতায় খেলেছেন এই পেসার।

“ওদের সঙ্গে যখন খেলি তখন খুব একটা আলাদা কিছু মনে হয় না। আবহাওয়া, সংস্কৃতি অনেক কিছুতেই তো প্রচুর মিল আছে। তবে টেস্টের ভারত আরও অনেক বেশি শক্তিশালী দল। ওদের সব খেলোয়াড়ই পারফরমার। ভারতের বিপক্ষে খেলাটা সহজ হবে না।”

আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে ভারতে বাংলাদেশের একমাত্র টেস্ট। কামরুলের বিশ্বাস, চোট পাওয়া ক্রিকেটাররা সম্পূর্ণ ফিট হয়ে ফিরলে সেই ম্যাচে ভালো করবেন তারা।

“আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সব খেলোয়াড় অনেক বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে। তারাও পারফরমার, বড় ইনিংস খেলার সামর্থ্য তাদেরও আছে। আমরা যদি নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারি তাহলে আশা করি, ভারত থেকে ভালো ফলই নিয়ে আসতে পারবো।”