রেকর্ড জুটিতে অস্ট্রেলিয়ার সহজ জয়

ডেভিড ওয়ার্নার ও ট্র্যাভিস হেডের ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিংয়ে বিশাল সংগ্রহ গড়া অস্ট্রেলিয়া পেয়েছে সহজ জয়। চমৎকার এক শতক করেও দলকে জেতাতে পারেননি বাবর আজম।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Jan 2017, 12:20 PM
Updated : 26 Jan 2017, 12:23 PM

পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার জয় ৫৭ রানের। ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ ঘরে তুলেছে দলটি।

বৃহস্পতিবার অ্যাডিলেড ওভালে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ৩৬৯ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ৫ বল বাকি থাকতে ৩১২ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান।

বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই অধিনায়ক আজহার আলিকে হারায় পাকিস্তান। শারজিল খানের সঙ্গে ২২ ওভার স্থায়ী দ্বিতীয় উইকেটে ১৩০ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন বাবর।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে পাকিস্তানের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনটি অর্ধশতক করা শারজিলকে ফিরিয়ে বিপজ্জনক হয়ে উঠা জুটি ভাঙেন মিচেল স্টার্ক। ৭৯ রান করা শারজিলের ৬৯ বলের ইনিংসটি গড়া ৯টি চার ও দুটি ছক্কায়।

দ্রুত ফিরেন মোহাম্মদ হাফিজ। কব্জিতে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন শোয়েব মালিক, পরে আর ব্যাটিংয়ে ফিরেননি তিনি। ৩৬ বছরের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় স্বাগতিকদের বিপক্ষে ওয়ানডেতে পাকিস্তানের হয়ে প্রথম শতক করেই ফিরেন বাবর। ১০৯ বলে খেলা তার ১০০ রানের ইনিংসটি সাজানো ৭টি চার ও একটি ছক্কায়।

থিতু হয়ে নিজের ইনিংস খুব একটা বড় করতে পারেননি উমর আকমল (৪০ বলে ৪৬)। উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ান ব্যর্থ আরেকটি সুযোগ কাজে লাগাতে। টেলএন্ডাররা দলের সংগ্রহ তিনশ’ পার করেন।

৪২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সেরা বোলার মিচেল স্টার্ক।

এর আগে ওয়ানডে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ২৮৪ রানের জুটিতে দলকে দারুণ সূচনা এনে দেন ওয়ার্নার-হেড। ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার আগের রেকর্ড জুটিতেও ছিলেন ওয়ার্নার। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেটে স্টিভেন স্মিথের সঙ্গে ২৬০ রানের জুটি গড়েছিলেন তিনি।

৩ রানের জন্য উদ্বোধনী জুটিতে সনাথ জয়াসুরিয়া ও উপুল থারাঙ্গার ২৮৬ রানের বিশ্ব রেকর্ড ভাঙতে পারেননি ওয়ার্নার-হেড।

১৭৯ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলা ওয়ার্নারকে ফিরিয়ে ৪১.৩ ওভার স্থায়ী জুটি ভাঙেন জুনায়েদ খান। এক বল বিরতিতে ফিরিয়ে দেন স্মিথকেও।

দ্বাদশ ওয়ানডে শতক পাওয়া ওয়ার্নারে ১২৮ বলের ইনিংসটি গড়া ১৯টি চার ও ৫টি ছক্কায়। তিনিই জেতেন ম্যাচ ও সিরিজ সেরার পুরস্কার।

ক্যারিয়ারের প্রথম শতক পাওয়া হেড ফিরেন ১২৮ রানে। তার ১৩৭ বলের ইনিংসটি গড়া ৯টি চার ও ৩টি ছক্কায়। উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর নিয়মিত উইকেট হারানোয় আরও বড় হয়নি অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ।

ওয়াহাব রিয়াজের পর পাকিস্তানের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে ওয়ানডেতে এক ম্যাচে তিন অঙ্কের রান দেন হাসান আলি (২/১০০)।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

অস্ট্রেলিয়া: ৫০ ওভারে ৩৬৯/৭ (ওয়ার্নার ১৭৯, হেড ১২৮, স্মিথ ৪, ম্যাক্সওয়েল ১৩, ওয়েড ৮, হ্যান্ডসকম ১, ফকনার ১৮*, স্টার্ক ৬, কামিন্স ১*; আমির ১/৭১, জুনায়েদ ২/৬১, হাসান ২/১০০, হাফিজ ০/৪৩, ওয়াহাব ১/৬২, মালিক ০/২৭)

পাকিস্তান: ৪৯.১ ওভারে ৩১২ (আজহার ৬, শারজিল ৭৯, বাবর ১০০, হাফিজ ৩, মালিক ১০ আহত অবসর, আকমল ৪৬, রিজওয়ান ৬, আমির ১৭, ওয়াহাব ১৭, হাসান ১৩, জুনায়েদ ০*; স্টার্ক ৪/৪২, হেইজেলউড ১/৭৪, কামিন্স ২/৬০, ফকনার ১/৬০, জ্যাম্পা ১/৬১, হেড ০/১৩)

ফল: অস্ট্রেলিয়া ৫৭ রানে জয়ী

সিরিজ: অস্ট্রেলিয়া ৪-১ ব্যবধানে জয়ী

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ডেভিড ওয়ার্নার (অস্ট্রেলিয়া)

ম্যান অব দ্য সিরিজ: ডেভিড ওয়ার্নার (অস্ট্রেলিয়া)