মাশরাফি, সাকিবের আক্ষেপ তামিমের কণ্ঠেও

প্রথম ওয়ানডের পর জরাগ্রস্ত ফিল্ডিংয়ের হতাশা ছিল মাশরাফি বিন মুর্তজার কণ্ঠে। টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে ক্যাচ হাতছাড়ায় হতাশা জানিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। টেস্ট সিরিজ শেষে সেই একই বিষয়ে আবার বলতে হল তামিম ইকবালকে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Jan 2017, 12:10 PM
Updated : 23 Jan 2017, 02:55 PM

দেশের মাটিতে আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশকে ভুগিয়েছিল বাজে ফিল্ডিং। তবে নিউ জিল্যান্ডে তাদের ফিল্ডিং ছিল আরও বাজে। সব ম্যাচে হারা সফরে ১৮টি ক্যাচ ফসকেছে চন্দিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যদের হাত থেকে।

দেশের সেরা সাব্বির রহমানসহ প্রায় সবাই ক্যাচ ছেড়েছেন। সবচেয়ে বেশি ব্যর্থ ছিলেন স্লিপ ফিল্ডাররা। তামিম মনে করেন, টেস্টে ভালো করতে যত দ্রুত সম্ভব এই সমস্যার সমাধান বের করতে হবে তাদের।

“এই একটা জিনিস, যা নিয়ে আমরা ভবিষ্যতে কাজ করতে পারি। বিশেষ করে স্লিপ কর্ডনে। কারণ, আমরা এখন দেশের বাইরে কয়েকটা ম্যাচ খেলব, যেখানে স্লিপে ক্যাচ যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। যে ধরনের উইকেটে খেলি তার জন্য আমাদের দেশে হয়ত স্লিপে বেশি ক্যাচ যায় না। আমরা যত তাড়াতাড়ি এই জায়গায় নিজেদের নিখুঁত করতে পারি আমাদের জন্য তত ভালো।”

দেশের মাটিতে সহায়ক কন্ডিশনে বোলাররা অনেক বেশি সুযোগ তৈরি করে তাই সেখানে ক্যাচ হাতছাড়া হলে প্রভাব খুব বেশি হয় না। কিন্তু নিউ জিল্যান্ডের মতো কন্ডিশনে একটি ক্যাচ হাতছাড়ার জন্যই দিতে হয় চড়া মাশুল।

“নিউ জিল্যান্ডের ওরা পাঁচটা ক্যাচ মিস করতে পারে কিন্তু আমরা এটা পারি না। কারণ, আমাদের একজন বোলারের একটা সুযোগ তৈরি করতে অনেক কষ্ট করতে হয়। আমার মনে হয়, আমাদের পেস বোলাররা অসাধারণ বোলিং করেছে। ভালো বল করে করে সুযোগ তৈরি করেছে।”

একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে হার দিয়ে সফর শুরু করা বাংলাদেশ হোয়াইটওয়াশ হয়েছে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে। তামিম মনে করেন, বেশিরভাগ সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেও চিত্রটা অনেক ভিন্ন হতো।

“ফিল্ডিংয়েও যদি আমরা অর্ধেক বা ১৮ ক্যাচের ৭০ শতাংশও ধরতে পারতাম ফল কিন্তু অন্যরকম হতে পারতো। হয়তো আমরা আরও ভালো জায়গায় থাকতাম।”