অধিনায়ক তামিমের সুযোগ

ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও চাপের টুর্নামেন্ট ঢাকা প্রিমিয়ারে লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়ক তিনি। ক্রিকেটের সবচেয়ে অভিজাত সংস্করণে বাংলাদেশের সহ-অধিনায়ক। তার পরও তার নেতৃত্ব নিয়ে চর্চা হয় কমই। ভবিষ্যতে তাকিয়ে কোনো সংস্করণে বাংলাদেশের স্থায়ী অধিনায়ক হিসেবেও তাকে দেখেন কম লোকই। এবার তামিম ইকবালের সুযোগ, নিজেকে নতুন করে চেনানোর!

আরিফুল ইসলাম রনিআরিফুল ইসলাম রনিক্রাইস্টচার্চ থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Jan 2017, 11:03 AM
Updated : 19 Jan 2017, 11:50 AM

যদিও মাত্র একটিই টেস্ট; হুট করে আসা সুযোগ। নিয়মিত অধিনায়কের মতো দলটা নিজের করে গোছানো নয়। এর পরও সুযোগ কিছু করে দেখানোর। সুযোগ নিজের ছাপ রাখার!

তামিম নিজেও এটিকে সুযোগ হিসেবেই দেখছেন। এমনিতে এবারের ঢাকা লিগ বাদ দিলে অধিনায়কত্ব নিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে অভিজ্ঞতা তার খুব সুখকর নয়। নিজেও কখনও বলেছেন নেতৃত্ব উপভোগের কথা, কখনও দেখিয়েছেন অনাগ্রহ। তবে টেস্ট দলের সহ-অধিনায়ক হয়ে আছেন দুই বছরের বেশি, এবার অধিনায়কত্বও করবেন। এটাই হয়ত জাড়িয়ে দিয়েছেন ভেতরের ক্ষুধা। ক্রাইস্টচার্চে তাই নিজের ছাপটা রাখতে চান তামিম।

“অবশ্যই এটি সুযোগ। সবসময়ই চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করি। আর আমি যে ধরনের অধিনায়কত্ব করতে পছন্দ করি, কিছুদিন এটা দারুণ মনে হবে। যখন আমার পরিকল্পনা কাজে লাগবে। আবার কাজে না লাগলে বাজে লাগবে। ঘরোয়া ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব করছি, আন্তর্জাতিক ম্যাচে এই প্রথম। আমার জন্যও শেখার সময়।”

সেই ছাপটা কেমন হবে, সেটিও স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন তামিম। ব্যাটিং দর্শন, নেতৃত্বেও আনতে চান সেই আক্রমণাত্মক মানসিকতার ছোঁয়া।

“আমি যে ধরনের ক্রিকেটার, সেই ধরণের নেতৃত্বই দিতে চেষ্টা করব। আক্রমণাত্মক হবো। সবসময় ব্যাটিং এভাবে করার চেষ্টা করি। নেতৃত্বেও যতটা সম্ভব ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করব।”

দায়িত্বটা পেলেন অবশ্য প্রচণ্ড বৈরী সময়ে। হারের বোঝায় নুইয়ে পড়েছে দল। একের পর এক চোট বিধছে কাঁটা হয়ে। ব্যাটিং অর্ডারের নিয়মিত পাঁচজনের তিনজনই নেই। সব মিলিয়ে যন্ত্রণায় কাতর এক দল। অধিনায়কত্বের রোমাঞ্চ তাই যতটা আছে, তার চেয়ে অনেক বেশি থাকার কথা চাপ।

তামিম অবশ্য ডাউন দ্য উইকেটে এসে বল উড়িয়ে মারার মতোই উড়িয়ে দিতে চাইলেন চাপের প্রশ্ন।

“চাপের কিছু নেই। সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব মানেই যে কোনো সময় অধিনায়কের কিছু হলে আমাকে দায়িত্ব নিতেই হবে। আমি চেষ্টা করব, যে ভাবনা থেকে দুই বছর আগে আমাকে দায়িত্বটা দেওয়া হয়েছিল, সেটি ঠিকভাবে করার। পরিকল্পনা মতো সব কিছু করার চেষ্টা করব। পরিকল্পনা কাজে লাগতে পারে, নাও পারে। তবে পেছনের ভাবনটা ঠিক থাকলেই আমি খুশি থাকব।”

টেস্টে নেতৃত্বের স্বাদ অবশ্য টুকটাক পেয়েছেন তামিম। মিরপুরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অসাধারণ সেই জয়ে শেষ সেশনে তিনিই নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলে শোনা যায়। ওয়েলিংটন টেস্টেও ফিল্ডিংয়ের দুই ইনিংসে তো তিনিই ছিলেন অধিনায়ক। তবে সেসব ছিল ‘ট্রেইলার।’ এবার অন্তত একটি ম্যাচের জন্য হলেও পুরো সিনেমা দেখানোর পালা। নাম “অধিনায়ক তামিম!”