সাকিবকে অনেক দিন ধরে দেখছেন মুশফিক। সেই অনূর্ধ্ব-১৯ থেকে খেলছেন এক সঙ্গে। সেই জানাশোনা থেকে অধিনায়ক রায় দিলেন, তার কাছে এটাই সাকিবের সেরা ব্যাটিং।
“সাকিবের সেরা ব্যাটিং কি না? তা তো অবশ্যই। ও যেভাবে ব্যাটিং করেছে তাতে আমার কখনও মনে হয়নি ও কোনো সমস্যায় আছে।”
অনেক দিন বড় রান না পাওয়ায় খানিকটা চাপে হয়তো ছিলেন সাকিব। কিন্তু এদিন তার চেয়ে বড় চাপ হয়ে এসেছিল প্রতিপক্ষ। রানের স্রোত থামাতে সাকিবের বিপক্ষে একের পর এক পরিকল্পনা করেছিলেন কেন উইলিয়ামসনরা। তার কোনোটাই সফল হয়নি সাকিবের দৃঢ়তায়।
“ওরা যে কয়টা পরিকল্পনা করেছে ও সব কয়টায় খুব ভালোভাবে উতরে গেছে, পাল্টা আক্রমণ করেছে। দেখে মনে হয় নাই একশ’, দুইশ’ রান করছে, কোনো ইমোশন নাই। একদম নরম্যাল, ব্যাট তুলতেও চাচ্ছে না, এমন অবস্থা!”
মুশফিক নিজে খেলেছেন ১৫৯ রানের চমৎকার এক ইনিংস। সাকিবের ব্যাট থেকে এসেছে বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস। একজন ২১৭ রানের ইনিংস খেলেছেন, অন্যরা সহায়তা করেছেন, অধিনায়ক হিসেবে ব্যাটসম্যানদের কাছে তো এটাই চাওয়ার।
“একজন যখন রান করে, দিন শেষে সেটা দলেরই রান। আর অধিনায়ক হিসেবে আপনি সব সময়ই চাইবেন, ব্যক্তিগত একজন যত বেশি সম্ভব রান করুক। সেদিক থেকে অনেক খুশি।”
“বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে সবচেয়ে বড় রানের ইনিংস খেলেছে, ওকে অভিনন্দন। আশা করবো, ভবিষ্যতে আরও যারা খেলোয়াড় আছে তারাও বড় বড় ইনিংস খেলবে।”