সাকিব-মুশফিকের যত কীর্তি

ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে স্বপ্নের মতোই একটা দিন কাটিয়েছেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। রেকর্ড বইয়ের অনেক পাতাতেই নিজেদের নাম তুলেছেন দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যাওয়া এই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Jan 2017, 10:11 AM
Updated : 13 Jan 2017, 12:36 PM

সাকিবের ক্যারিয়ার সেরা ২১৭ আর মুশফিকের অধিনায়কোচিত ১৫৯ রানের ওপর ভর করে ওয়েলিংটন টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫৪২/৭।

# ২৭৬ বলে ২১৭ রান করেন সাকিব। টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের রেকর্ড এখন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারের। ২০১৫ সালের এপ্রিলে খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে তামিম ইকবালের ২০৬ রান ছিল আগের সেরা।

# মুমিনুল হকের ২৭ বাউন্ডারি ছাড়িয়ে এক ইনিংসে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ৩১টি বাউন্ডারির রেকর্ড এখন সাকিবের।

# টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়েন সাকিব ও মুশফিক। তাদের ৩৫৯ পেছনে ফেলে তামিম ইকবাল-ইমরুল কায়েসের ৩১২ রানের জুটিকে। ২০১৫ সালে খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ বাঁচাতে এই বিশাল উদ্বোধনী জুটি গড়েছিলেন দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

# টেস্ট ইতিহাসে সাকিব-তামিমের জুটি পঞ্চম উইকেটে চতুর্থ সর্বোচ্চ। ৪০৫ রান নিয়ে ১৯৪৬ সালের ডিসেম্বর থেকে রেকর্ড অস্ট্রেলিয়ার ডন ব্র্যাডম্যান ও সিডনি বার্নসের।

# নিউ জিল্যান্ডে এটাই বাংলাদেশের সেরা জুটি। এখানে তাদের আগের সেরা ছিল ২০০৮ সালে ডানেডিনে জুনায়েদ সিদ্দিকের সঙ্গে তামিমের ১৬১ রান। এখানে পঞ্চম উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি ছিল মাত্র ২৬ রানের।

# বাংলাদেশ-নিউ জিল্যান্ড সিরিজেও দুই দল মিলিয়ে সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়েন সাকিব-মুশফিক। পেছনে ফেলেন মার্টিন গাপটিল ও ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে। নিউ জিল্যান্ডের দুই ব্যাটসম্যান ২০১০ সালে হ্যামিল্টনে ষষ্ঠ উইকেটে গড়েছিলেন ৩৩৯ রানের জুটি।

# হয়েছে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে পঞ্চম উইকেটে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। ১৯৭৬ সালের অক্টোবরে লাহোরে জাভেদ মিয়াদাদ ও আসিফ ইকবালের ২৮১ ছিল আগের সর্বোচ্চ। পঞ্চম উইকেটে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের আগের সেরা জুটিতেও ছিলেন মুশফিক। ২০০৮ সালে চট্টগ্রামে তার সঙ্গে ১৪৪ রানের জুটি গড়েছিলেন মেহরাব হোসেন জুনিয়র।

# রেকর্ড হয়েছে নিউ জিল্যান্ডের মাটিতেও। পঞ্চম উইকেটে নিউ জিল্যান্ডে সর্বোচ্চ রানের জুটি ছিল ১৯৯৪ সালে এই মাঠেই ইনজামাম-উল-হক ও সেলিম মালিকের ২৫৮। তার চেয়ে ১০১ রান বেশি করেছেন সাকিব-মুশফিক।

# স্বাভাবিকভাবেই টেস্টে পঞ্চম উইকেটে বাংলাদেশের সেরা জুটি এখন সাকিব-মুশফিকুরের। এই রেকর্ডে আগেও ছিলেন মুশফিকুর। ২০১৩ সালে গলে মোহাম্মদ আশরাফুলের সঙ্গে করেছিলেন ২৬৭ রান।

# তামিম ও ইমরুলের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় জুটি হিসেবে টেস্টে দুই হাজার রানের মাইলফলক অতিক্রম করেন সাকিব-মুশফিক। টেস্টে তিনটি শতক, ১৪টি অর্ধশতকসহ তাদের রান ২ হাজার ১৭। খানিকটা এগিয়ে থাকা তামিম-ইমরুলের রান ২ হাজার ২২৯।

# এখনও প্রথম ইনিংস শেষ হয়নি বাংলাদেশের, তবে এরই মধ্যে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়েছে মুশফিকের দল। তাদের আগের সেরা ছিল ২০১৩ সালে চট্টগ্রামে করা ৫০১ রান। নিউ জিল্যান্ডের মাটিতেও সর্বোচ্চ রান করেছে তারা। আগের সেরা ছিল ২০১০ সালে হ্যামিল্টনের ৪০৮ রান।

# দেশের বাইরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের সংগ্রহ গড়েছে বাংলাদেশ। ওয়েলিংটনের চেয়ে বেশি রান আছে কেবল শ্রীলঙ্কার গলে। ২০১৩ সালে ৬৩৮ রান করেছিল অতিথিরা।

# নিউ জিল্যান্ডে এই প্রথম কোনো টেস্টে এক ইনিংসে একশ’ ওভার খেলল বাংলাদেশ। এর আগে সবচেয়ে কাছাকাছি যায় ২০১০ সালে। সেবার হ্যামিল্টনে ৯৭.৩ ওভারে ৪০৮ রান করে তারা।

# এই প্রথম কোনো টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানের চারজন পঞ্চাশ বা তার বেশি রান করলেন। অর্ধশতক করেন তামিম ও মুমিনুল হক। সাকিব দ্বিশতক ও মুশফিক শতক করে ফিরেন।

# বাংলাদেশের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে তিন হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন সাকিব। হাবিবুল বাশারকে (৩ হাজার ২৬) ছাড়িয়ে এখন টেস্টে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সাকিবের (৩ হাজার ১৪৬)। বাংলাদেশের হয়ে বেশি টেস্ট রান আছে কেবল তামিমের (৩ হাজার ৪০৫)।