সবাইকে ছাড়িয়ে সাকিব

টেস্টে আগে কখনও দেড়শ’ করতে পারেননি। এর বাইরে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে কখনই ছুঁতে পারেননি ১৩০। সেই সাকিব আল হাসানই গড়লেন টেস্টে বাংলাদেশের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড!

ক্রীড়া প্রতিবেদক ওয়েলিংটন থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Jan 2017, 05:31 AM
Updated : 13 Jan 2017, 12:38 PM

ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে ২১৭ করে সাকিব ছাড়িয়ে গেলেন খুলনার তামিমকে। ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে ২০৬ রান করেছিলেন তামিম। সাকিব ছাড়িয়ে যাওয়ার সময় মাঠের বাইরে থেকে হাসিমুখে তালি দিয়ে অভিনন্দন জানালেন তামিম।

সাকিব দিন শুরু করেছিলেন ৫ রান নিয়ে। ১৫০ বলে স্পর্শ করেন চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরি। অসাধারণ এক জুটিতে সেঞ্চুরি করেন মুশফিকুর রহিমও। সেঞ্চুরির পরও এগিয়ে যান দুজন। গড়েন বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বড় জুটির রেকর্ড।

সেঞ্চুরিটা কাছাকাছি সময়ে হলেও ক্রমে মুশফিককে ছাড়িয়ে অনেকটা এগিয়ে যান সাকিব। ১৯১ বলে ছুয়েঁছেন দেড়শ। কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকে দারুণ এক স্কয়ার কাটে চার মেরে দুইশর ঠিকানায় পৌঁছেন ২৫৩ বলে।

পরের ওভারেই ট্রেন্ট বোল্টের বেরিয়ে যাওয়া বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে ১৫৯ রানে ফিরলেন মুশফিক। ভাঙল ৩৫৯ রানের ম্যারাথন জুটি। সাকিব তখন অপরাজিত ২০৫ রানে। খানিক পরই রেকর্ড করে নিয়েছেন শুধু নিজের।

ইনিংসটির পথে টেস্টে ৩ হাজার রানের মাইলফলকও পেরিয়েছেন সাকিব। মুমিনুল হকের ২৭ বাউন্ডারি ছাড়িয়ে এক ইনিংসে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি (৩১) বাউন্ডারির রেকর্ডও এখন তার।

সাকিব ও তামিম ছাড়া বাংলাদেশের হয়ে ডাবল সেঞ্চুরি আছে আর কেবল মুশফিকেরই। বাংলাদেশকে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি উপহার দিয়েছিলেন ২০১৩ সালে গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।

উপমহাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে নিউ জিল্যান্ডে ডাবল সেঞ্চুরি সাকিবের আগে আছে আর মাত্র পাঁচজনের। পাকিস্তানের মুশতাক মোহম্মদ, জাভেদ মিয়ানদাদ ও মোহাম্মদ ইউসুফ, শ্রীলঙ্কার অরবিন্দ ডি সিলভা ও কুমার সাঙ্গাকারা। ভারতের কেউ এখনও করতে পারেননি।