ম্যাচের সেটি ছিল ১৮তম ওভার, মাশরাফির শেষ। দ্বিতীয় বলে গুলির বেগে ড্রাইভ করেছিলেন কোরি অ্যান্ডারসন। ফলো থ্রুতে ডাইভ দিয়ে ফেরানোর চেষ্টা করেন বল। হাতে লেগে বল চলে যায় লং অফে। প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন সঙ্গে সঙ্গেই।
ফিজিও ডিন কনওয়ে মাঠে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার সময় ব্যথা অনুভব করেন আরও বেশি। ছেড়ে যান মাঠ। মাশরাফি যখন মাঠেই ব্যথায় চিৎকার করেন বা মাঠ ছেড়ে যান, বুঝে নিতেই হয় সেটি বড় ধরনের কিছুই।
হাসপাতালে স্ক্যান করার পর ধরা পড়েছে তেমন কিছুই। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরকে মাশরাফি জানালেন, ডান হাতের বুড়ো আঙুলের হাড়ের উপরের অংশটা ভেঙে আলাদা হয়ে গেছে।
মাঠে ফিরতে লেগে যাবে ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ। তবে দুঃসংবাদের মাঝেও একটু স্বস্তি, এই সময়টায় বাংলাদেশের কোনো ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি নেই। মার্চে শ্রীলঙ্কা সফরের ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগেই সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আশা তার।
“খারাপের মাঝেও ভালো এটা যে ইনজুরিটা হলো এখানে শেষ ম্যাচে। সামনেও আপাতত খেলা নেই। মার্চে শ্রীলঙ্কা সফরে টেস্ট ম্যাচ আগে, ওয়ানডে পরে। আশা করি, ততদিনে সুস্থ হয়ে যাব।”
ক্যাচ ধরতে গিয়ে বুড়ো আঙ্গুলে চোট পেয়েছিলেন তামিম ইকবালও। এক্সরেতে কোনো কিছু ধরা না পড়লেও তার চোটের জায়গা ফুলে আছে দেখে শঙ্কা আছে।
সীমানায় ফিল্ডিং করার সময় ডিজিটাল বোর্ডের সঙ্গে সংঘর্ষে হাঁটুতে চোট পেয়েছেন আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েসও। তবে তার চোট তেমন খারাপ কিছু না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
দুই জনকেই পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। ৪৮ ঘণ্টা পর আবার চোটের অবস্থা পর্যালোচনা করা হবে।